উদ্বোধনের পরেও বন্ধ ভবন। নিজস্ব চিত্র।
মাস দু’য়েক আগে উদ্বোধন হলেও এখনও চালু হয়নি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ২০ শয্যার এসএনসিইউ।
গত ফ্রেবুয়ারি মাসের ১১ তারিখ নয়াগ্রাম থেকে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ এই বিভাগটির উদ্বোধন করেন। বিরোধীদের অভিযোগ নির্বাচনের মুখে সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি না করেই উদ্বোধন করা হয় বিভাগটির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মূল ভবন থেকে এসএনসিইউ ভবনে সদ্যজাতদের নিয়ে যেতে হলে যে শেডের দরকার তার কাজ শেষ হলে চালু করা হবে বিভাগটি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যায়ে ওই ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। আগামী দিনে মায়েদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ডও থাকবে ওই ভবনে। সিক নিউনেটাল কেয়ার ইউনিটের ২০ শয্যার ওই ওয়ার্ডে আধুনিক ফটোথেরাপি মেশিন, রেডিও ওয়ার্মার সহ নানা ধরনের যন্ত্র আনা হয়েছিল। প্রায় দু’মাস ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেশিন গুলি। সদ্যজাতদের জন্ডিস, নিমোনিয়া সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হওয়ার কথা এখানে। ওই বিভাগের জন্য চারজন শিশু চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন হাসপাতালে। ১০ জন নার্সকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের জন্মানো সদ্যোজাতদের সঙ্গে জেলার যে কোনও জায়গার অসুস্থ সদ্যোজাতদের এনে এখানে ভর্তি করা যাবে। সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, “চারতলা ওই ভবনের মাত্র দোতলা তৈরি হয়েছে। অন্য বিভাগের ১০ জন নার্সকে এসএনসিইউর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের মূল ভবন থেকে এসএনসিইউতে নিয়ে যেতে গেলে বেশ কয়েক মিটার খোলা আকাশের নীচ দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বর্ষা এসে গিয়েছে। আমরা ওই খোলা জায়গায় দ্রুত শেডের ব্যবস্থা করছি তার পরেই বিভাগটি চালু করা হবে।”
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিশ্বরঞ্জন সরকারের বক্তব্য, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করা হয়েছিল এসএনসিইউ বিভাগটির। দ্রুত তা চালুর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রাখব। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সহ সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “হাসপাতালে সিসিইউ, সিটিস্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে চালু হয়েছে। শিশুদের জন্য তৈরী এসএনসিইউ বিভাগটি উদ্বোধনের দু’মাস পরেও কেন চালু হল না নিয়ে খোঁজ নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy