বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গত দু’তিন বছর ধরে ‘টাইগার রিপ্রোডাকশন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
শীঘ্রই বাঘ ছাড়া হবে বক্সা ব্যঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে। তার আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জঙ্গল পরিদর্শন করবে বিশেষজ্ঞ দল। শনিবার রাজাভাতখাওয়াতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল সৌমিত্র দাশগুপ্ত ।
বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণকেন্দ্রে বাঘের সংখ্যা যথেষ্ট কম। বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গত দু’তিন বছর ধরে ‘টাইগার রিপ্রোডাকশন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে সেই প্রকল্প কার্যকর করার কাজও। শীঘ্রই জঙ্গল পরিদর্শনে যাবেন গ্লোবাল টাইগার ফোরাম, ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির আধিকারিক এবং বিজ্ঞানীরা।
বাঘেদের থাকার জন্য কোন এলাকা উপযুক্ত, সেখানে কী কী পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন, সে সব পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞেরা। বিশেষ নজর দেওয়া হবে আবহাওয়ায়। এই আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রয়েছে, এমন এলাকা থেকেই বাঘ আনা হবে বক্সায়। বিশেষজ্ঞ দলের পরিদর্শনের পরেই জানা যাবে, কবে বক্সা জঙ্গল ছাড়া যাবে বাঘ। বাঘ ছাড়ার আগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জঙ্গলে ভুটিয়া বনবস্তি, গাঙ্গুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় পাঠানো হবে।
শনিবার মুখ্য বনপাল সৌমিত্র জানান, রাজ্য বন দফতরে প্রায় ১,৩৫০ কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিলমোহর দিয়েছে। প্রায় ১৭০ ফরেস্ট রেঞ্জার, ১৭৫ জন কর্মী ও ১,০০০ বনকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy