খন্দ: রাস্তায় দুর্ভোগ। নিজস্ব চিত্র
কোথাও পিচের চাদর উড়ে গিয়েছে। কোথাও খানাখন্দে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে থাকছে। বর্ষার মুখে দিনহাটা মহকুমায় একাধিক বেহাল গ্রামীণ রাস্তা ঘিরে বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, সবচেয়ে বাজে অবস্থা গীতালদহ-নারায়ণগঞ্জগামী রাস্তার। দিনহাটা ১ পঞ্চায়েত সমিতির আওতাধীন ওই রাস্তাটির দু’দিকে স্কুল, বাজার, বিএসএফের বিওপি রয়েছে। প্রায় চার কিমি ওই রাস্তা দীর্ঘ দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে হাতেগোনা কিছু ছোট টোটোই যাতায়াতের মূল ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এক সময় ওই রুটে ছোট গাড়ি চলাচল করত। দিনহাটা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝর্না দাস বলেন, “দ্রুত মেরামতের চেষ্টা হচ্ছে।”
বাসিন্দারা জানান, বামনটারি থেকে বাসন্তীরহাট পর্যন্ত রাস্তার অবস্থাও দীর্ঘ দিন বেহাল। একই অবস্থা বড়শোলমারি থেকে বাত্রিগছগামী রাস্তাটির। বিভিন্ন মহলে বারবার দাবি জানিয়েও রাস্তা দু’টির হাল ফেরানর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। দিনহাটা ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, বামনটারি-বাসন্তীরহাট প্রায় সাড়ে তিন কিমি ওই রাস্তার হাল ফেরাতে টাকার সংস্থানের চেষ্টা হচ্ছে। কোচবিহার জেলা পরিষদ ও সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ চেয়ে আবেদনও জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে বড়শোলমারি-বাত্রিগছ রাস্তাটি পূর্ত দফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে। কয়েক জন বাসিন্দা জানান, ঘটা করে কোচবিহারজুড়ে গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। অথচ সীমান্ত এলাকার রাস্তার ব্যাপারে নজর নেই। সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বহু রাস্তা তৈরি, সংস্কার হয়েছে, ওই রাস্তাগুলি দ্রুত করা হবে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, পুজোর আগেই সংস্কার হবে বলে আশা করছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy