প্রতীকী ছবি।
বিজেপির দাবি, উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে মাসখানেক আগেই। তৃণমূলের দাবি, আজ শনিবারই হবে উদ্বোধন। কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে শুক্রবার তুমুল তরজায় নেমে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি।
জলপাইগুড়িতে বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, হাইকোর্টের আমন্ত্রণ পত্রে শনিবার সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরুর ‘উদযাপন’ হবে বলে লেখা হয়েছে। বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতা গৌতম পাল বলেন, “এক বেঞ্চের দু’বার কী করে উদ্বোধন হবে? ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারের মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী গত ৮ ফেব্রুয়ারি সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করে দিয়েছেন। সে কারণেই হাইকোর্টের আমন্ত্রণপত্রে বেঞ্চের কাজ শুরু উপলক্ষে উদ্যাপন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্বোধন বলে দাবি করে তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’’
জলপাইগুড়ি শহরের প্রতিটি রাস্তা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনে ধন্যবাদ লেখা ফ্লেক্স, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। শহরের বাতিস্তম্ভগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ‘স্বাগতম’ জানিয়ে কাটআউট ঝুলছে। কোনওটা লাগিয়েছে এসজেডিএ, কোনওটা পর্যটন দফতর, কোনওটা আবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে লাগানো হয়েছে। তার বাইরেও তৃণমূল নেতারাও সৌজন্যের জায়গায় নিজেদের নাম লিখে বিস্তর হোর্ডিং লাগিয়েছেন। সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার রাস্তা স্টেশন রোডেই তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নাম লেখা হোর্ডিং দেখা যাচ্ছে। অস্থায়ী আদালত ভবনে ঢোকার দরজার পাশেই দেওয়াল বরাবর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বড় হোর্ডিং লাগিয়েছে এসজেডিএ।
হোর্ডিং-ফ্লেক্স শুধু নয়, এ দিন দুপুরে সৈকতবাবুর নেতৃত্বে মহিলাদের নিয়ে শহর জুড়ে মিছিল হয়েছে। মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ পরে মহিলারা সার্কিট বেঞ্চের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সৈকতবাবুর দাবি, নারীদিবস পালন করতে মহিলাদের দিয়ে মিছিল করিয়ে সার্কিট বেঞ্চের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। মিছিল করেছেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরাও।
বিজেপি নেতা গৌতমবাবুর অভিযোগ, ‘‘সার্কিট বেঞ্চের গোটা প্রক্রিয়াই কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায়। তৃণমূল মিথ্যের রাজনীতি করছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টানা ধর্না চালিয়েছিলাম আমরা। রাজ্য সরকার সব পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন। তার জন্যই বেঞ্চ সম্ভব হল। মুখ্যমন্ত্রীকে আগামিকাল শহরের বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে এসে অভিনন্দন জানাবেন।”
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে পাল্টা ফ্লেক্স লাগিয়েছে বিজেপিও। ডিবিসি রোডে পার্টি অফিসের সামনে ফ্লেক্স লাগিয়েছে তারা। দলের যুব সভাপতি শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘‘সারা শহরেও ফ্লেক্স বাঁধা হবে। তবে জানি, তৃণমূল সব ছিঁড়ে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy