বেআইনি নার্সিংহোমে প্রসব করানোর সময় হাতেনাতে ধরেও কেন হাতুড়ে চিকিৎসককে ছেড়ে দেওয়া হল তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপড়েন।
মঙ্গলবার গোয়ালপোখরের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ অভিযুক্ত ওই হাতুড়ে চিকিৎসক মহম্মদ মুক্তারকে জেরা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। ততক্ষণে মুক্তার এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
ইসলামপুরের এসডিপিও প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘পুরোটাই স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়। পুলিশকে কেবল সহযোগিতা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর অভিযোগ জমা করার পরই মামলা রুজু করে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিও চালানো হয়েছে।’’
মঙ্গলবার সকালে ওই নার্সিংহোমে অভিযান চালানোর সময় ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় ছিল স্বাস্থ্যদফতরের প্রতিনিধি দল। ছিল পুলিশও। সেই সময়ও মুক্তার ওই নার্সিংহোমে ছিল। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের কোন নির্দেশই দেওয়া হল না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। গোয়ালপোখরের বিডিও রাজু শেরপা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ জমা করা হয়েছে। শীঘ্রই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করবে।’’
যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘সেখানে স্বাস্থ্য দফতর নিজের কাজ করেছে। বিডিও ও পুলিশও গিয়েছিল। তাঁদেরই তাকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। গ্রেফতার করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা যেত। তারা কোনও কিছু করেনি বলে আমরা পরে অভিযোগ করেছি। বেআইনি কাজের জন্য পুলিশ তো তাকে গ্রেফতার করতেই পারত।’’
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের লোধন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রই এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। সেখানেও অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা নেই। সেই কারণে প্রসূতিদের একটি অংশ হাতুড়েদের উপর নির্ভরশীল। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হারও অনেক কম গোয়ালপোখরে।