ফাইল চিত্র।
রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একদল জমির দালালের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ইস্টার্ন বাইপাসে হাতিয়াডাঙা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তরা তৃণমূলের লোকজন বলেই এলাকায় পরিচিত। ঘটনার পর শিখাদেবীকে রাতেই প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতালে এবং পরে সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের কাছে সাত জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শিখাদেবী। তার ভিত্তিতে বুধবার সকালে দুই জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।
ঘটনার সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে আশিঘর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তারা যান। কিন্তু অভিযু্ক্তরা সেখানে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে শিখাদেবীর ঘনিষ্ঠরা অভিযোগ তুলেছেন। রাতে আশিঘর ফাঁড়িতে বিক্ষোভও দেখান হয়। ঘটনায় আশিঘর থানার ওসিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম, রঞ্জিত ঘরামি এবং মানিক সিংহ রায়। অভিযুক্ত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
জমির দালালির সঙ্গে যুক্ত দলেরই দুই গোষ্ঠীর রেষারেষি বলেই মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। এলাকায় জমির দালালদের নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। শিখাদেবীর অভিযোগ, ওই দিন রাতে এক রিকশাওয়ালা শিখাদেবীর অফিসে এসে অভিযোগ করেন কিছু লোক তাঁর পরিবারকে বাড়ি থেকে বার করে তা দখল নিচ্ছে। রিকশাচালককে ফিরে যেতে বলে শিখাদেবী রাত ৯টা নাগাদ কয়েকজনকে নিয়ে হাতিয়াডাঙার ওই এলাকা রাধাকৃষ্ণপল্লিতে যান। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন শিখাদেবী জানান, ‘‘রিকশাচালক এবং তাঁর স্ত্রী সন্তানদের বাড়িতে ঢুকতে দিতে বলি। ওরা কথা শুনতে চায়নি। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। মারধর করে। মন্ত্রীকে সমস্ত জানিয়েছি। অভিযুক্তরা জমির দালালির সঙ্গে যুক্ত।’’ এলাকার বিধায়ক গৌতম দেব দুপুরে শিখাদেবীকে দেখতে যান। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা যে দলই করুক, ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলেছি।’’ তাঁর ইঙ্গিত বিজেপির দিকে। বিজেপি তা অস্বীকার করেছে। শিখাদেবীর ঘনিষ্ঠ মহলেরই অভিযোগ, দালালদের একাংশ ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত বলে অভিযোগ। উপপ্রধান দিলীপ দাস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন ঘটল জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy