অদিতি ও যতীন্দ্রনাথ।
স্ত্রীকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে হুগলি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে ছোট গাড়ির ধাক্কায় মারা গেলেন এক যুবক। তাঁর নাম যতীন্দ্রনাথ নন্দন (৩৯)। রবিবার বিকেলে উত্তর দিনাজপুরের কালোমাটিয়া এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর স্ত্রী অদিতিদেবী। তাঁদের বাড়ি হুগলির মগড়া থানার বাঁশবেড়িয়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, যতীন্দ্রনাথবাবু কলকাতার একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। সাত বছর আগে নবদ্বীপের বাসিন্দা অদিতিদেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সন্তান নেই। যতীন্দ্রনাথবাবু কাজের ফাঁকে নিজের বাইক নিয়ে নানা জায়গায় যেতেন। মোটরবাইকেই সস্ত্রীক দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সমুদ্র, পাহাড়, মন্দির ঘুরে দেখেছেন।
যতীন্দ্রনাথবাবুর শ্যালক আদিত্য দাসের দাবি, এ বারে প্রথমে মালদহে যেতে চেয়েছিলেন যতীন্দ্রনাথ। রবিবার গভীর রাতে অদিতিদেবীকে বাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ওই দিন দুপুরে মালদহে পৌঁছনোর পর কোনও কারণে সিদ্ধান্ত বদল করে অদিতিদেবীকে নিয়ে দার্জিলিং রওনা হয়ে যান যতীন্দ্রনাথবাবু। ইটাহারে দুর্ঘটনায় পড়েন। মোটরবাইক থেকে রাস্তার ধারে ছিটকে পড়েন ওই দম্পতি। তাঁদের দু’জনেরই হেলমেট পরা ছিল। কিন্তু শরীরের নানা জায়গায় চোট লাগে। এলাকার লোকজনই তাঁদের প্রথমে উদ্ধার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসিন্দারাই এর পর তাঁদের রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান।
আদিত্যবাবু বলেন, ‘‘জামাইবাবু মোটরবাইক নিয়ে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতেন। দিদিও মাঝেমধ্যে জামাইবাবুর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে যেত। কিন্তু দুর্ঘটনায় এ ভাবে জামাইবাবুর মৃত্যু হবে, সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’’ তিনি জানান, যতীন্দ্রনাথবাবুর মোটরবাইকটি ছিল খুবই দামি। তাঁর মোটরবাইক চালানোর হাতও ছিল খুবই ভাল।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অদিতিদেবী সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে সব জানা যাবে। তিনি রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি। তবে তাঁকে কলকাতায় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
যতীন্দ্রনাথের দেহ সোমবারই জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। দেহটি মৃতের পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ দিন বিকেলে তাঁর দেহ নিয়ে বাঁশবেড়িয়ার রওনা হন পরিবারের লোকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy