ভয়াবহ আগুনে ছাই হয়ে গেল ছয়টি গুদাম। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে কালিয়াগঞ্জ থানার ডাকবাংলো রোড এলাকায়। কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর ও কুশুমন্ডি থেকে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন গিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ডাকবাংলো রোড এলাকায় কালিয়াগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে গুদাম ভাড়া নিয়ে পাট, ভুট্টা সহ বিভিন্ন বিভিন্ন শস্য ও খাবার সামগ্রী মজুত করেন। এ দিন প্রথমে এলাকার দুটি পাটের গুদামে আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা চারটি ছোট গুদামে। পুড়ে যায় পাট, চিনি, চাল, ডাল, ভুট্টা, সর্ষের তেল-সহ মুদি সামগ্রীতে বোঝাই ছিল গুদামগুলি। ব্যবসায়ীদের দাবি, “আগুনে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
এলাকার বাসিন্দারা দুপুর ২টা নাগাদ প্রথমে পাটের গুদামে আগুন জ্বলতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কালিয়াগঞ্জ দমকল কেন্দ্রে খবর দেন। দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভার চেয়ারম্যান অরুণ দে সরকার, কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যান। পুর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দমকল পাম্পের মাধ্যমে স্থানীয় শ্রীমতী নদী থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সংগ্রহ করে তা আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করে। পুলিশ জানিয়েছে, গুদামগুলি প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। কাঠ ও টিন দিয়ে গুদামগুলি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে একটি গুদামের তালা ভেঙে চাল, আটা ও গুড় উদ্ধার করতে গিয়ে ডানপায়ে ও বাঁ হাতে চোট পেয়েছেন আইসি শ্রীমন্তবাবু। তাঁর প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শট সার্কিটে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কালিয়াগঞ্জ দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক সত্যেন বর্মন বলেন, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” তবে রাত অবধি দমকল বা পুলিশের তরফে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy