Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরের কড়চা

নদীতে ওদের আর দেখা মেলে না। প্রায় হারিয়ে গেছে জয়া, কক্সা, ছেবলি আর আনুজ। হারিয়ে যাবার পথে পিয়ালিও। গালভরা নাম বারিলিয়াস বারিলা। তবে মানুষ চেনে বোরোলি নামে। আদরের নামও আছে একটাতিস্তার ইলিশ। ইলিশের মতোই তার শরীরে রুপোলি রঙের ঝিলিক।

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

জয়া, কক্‌সার মতো হারিয়ে যাচ্ছে ‘তিস্তার ইলিশ’

নদীতে ওদের আর দেখা মেলে না। প্রায় হারিয়ে গেছে জয়া, কক্সা, ছেবলি আর আনুজ। হারিয়ে যাবার পথে পিয়ালিও। গালভরা নাম বারিলিয়াস বারিলা। তবে মানুষ চেনে বোরোলি নামে। আদরের নামও আছে একটাতিস্তার ইলিশ। ইলিশের মতোই তার শরীরে রুপোলি রঙের ঝিলিক। স্বাদেও ইলিশের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিতে পারে সে। বোরোলির বাসস্থান উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী। বর্তমানে জলদূষণ, কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার, পাহাড়ি নদীতে ডিনামাইট বিস্ফোরণের কম্পন—তার শত্রুর সংখ্যা নেহাত কম নয়। নদীর পরিবেশ বিঘ্নিত হলে সবচেয়ে প্রথম প্রভাবিত হয় এই মাছটি। অতি সুস্বাদু বোরোলি নিজে কী খায়? জলে ভাসমান আণুবীক্ষনিক প্রাণী ডাফনিয়া আর সাইক্লপ বোরোলির পছন্দ। শৈবালের মধ্যে পছন্দ ভলভক্স আর স্পাইরোগাইরা। নদীর জলে শৈবালের খোঁজ পাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের মত্‌স্যপ্রিয় মানুষের পাত থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তিস্তার ইলিশ। উত্‌সবের মরসুমে বাজারে বোরোলির দেখা মিলেছে। প্রশ্ন আর কত দিন? জলপাইগুড়ির সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউতের মতে, বোরোলির সংখ্যাহ্রাস পাওয়া একটি অশনি সংকেত। নদীর জল কতটা দূষিত হচ্ছে তা জানান দিচ্ছে তিস্তার ইলিশ। এই দূষণ রোধ করার জন্য সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

লেখা ও ছবি: সুদীপ দত্ত।

সিংহবাহিনী মন্দির

দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী খাঁপুর সিংহবাহিনী মন্দিরটি, কথিত আছে, স্থাপন করেছিলেন দিনাজপুরের রাজা বৈদ্যনাথ। জনশ্রুতি হল, এই মন্দিরটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো। কিন্তু সিংহবাহিনী মন্দিরের প্রাচীন ইটের গায়ে ইতিহাসের যে গভীর ছাপ রয়েছে, তাতে এখন শ্যাওলার ছোপ। ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে অতি উত্‌সাহীরা। খাঁপুর জমিদার বাড়ির বর্তমান অংশীদার-সংরক্ষক উদয় সিংহ রায় জানালেন, তাঁর কাছেই এই মন্দিরের তিনশো বছরের বেশি পুরনো নথি আছে।

এই মন্দিরকে হেরিটেজের মর্যাদা দিতে লড়াই শুরু করেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের হেরিটেজ সোসাইটি। পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০১৩ র ১০ই মার্চ প্রথম সমীক্ষা করে। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের পক্ষে দ্বিতীয় বার প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করলেন স্থপতি আশিস আচার্য, সহযোগী সঞ্জয় মাইতি প্রমুখ। আশিসবাবু বলেন, মন্দিরটির নকশা, উচ্চতা, নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও যেমন দেখলাম, তেমনই একে ঘিরে কী কী ভাবে সৌন্দর্যায়ন করা যায় যা পর্যটকদের আকর্ষণ করা যায়, সেই বিষয়টিও দেখলাম। তবে কাজ শুরু হতে কিছু সময় লাগবে।” দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটির পক্ষে সমিত ঘোষ ও পার্থসারথি মৈত্র জানালেন, চার চালার মন্দিরটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। টেরাকোটার কাজ এই মন্দিরের বৈশিষ্ট। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু না করলে তা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে। বিভিন্ন দিকে ফাটল ক্রমশ বড় হচ্ছে। জেলার আরও মন্দির হেরিটেজ তকমা পাওয়ার যোগ্য বলেও মনে করেন তাঁরা।

লেখা: তুহিনশুভ্র মণ্ডল।

রাজবংশী ভাষার অভিধান

রাজবংশী ভাষা অ্যাকাদেমির পক্ষ থেকে সম্প্রতি রাজবংশী ভাষাচর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর ভাষা সম্মান প্রদান করা হয় কলীন্দ্রনাথ বর্মনকে। রাজবংশী ভাষার প্রথম অভিধানকার কলীন্দ্রনাথ বর্মনের ‘রাজবংশী অভিধান’-এর প্রকাশকাল ১৩৭৭ বঙ্গাব্দের ২৭ মাঘ। অভিধানটি আসলে রাজবংশী ভাষার শব্দার্থকোষ। তিনি যে শব্দগুলি খুঁজে পেয়েছিলেন তার অনেক শব্দই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। যেমন শুকাতি—রোদে শুকানো পাট শাক, হাউরিয়া—হাভাতে, শিকিয়া—শিকে, হেউতি—আমন ধান। আশির দশকে কলীন্দ্রনাথ যে কাজে উদ্যোগী হয়েছিলেন, আজকের রাজবংশী ভাষা অ্যাকাদেমি স্থাপনের মধ্য দিয়ে তার চর্চা প্রসারিত হয়েছে। এই অভিধানে কলীন্দ্রবাবু প্রায় হাজার পাঁচেক শব্দ তুলে এনেছেন। ভূমিকায় নির্মলেন্দু ভৌমিক জানাচ্ছেন, “.....তিনি মফস্‌সল অঞ্চলের নিভৃত কোণে বসে এই অভিধান সংকলন করেছেন এবং ব্যাকরণকার ও ভাষাবিজ্ঞানীদের অপেক্ষা একটি বিশিষ্ট ভূখণ্ডের মানুষের প্রতি আন্তরিক প্রীতিবশতই এ গ্রন্থ-রচনায় উদ্যোগী হয়েছেন। তাই করেই ক্ষান্ত থেকেছেন। শব্দের পরিচয় ও বুত্‌পত্তি দেননি কিংবা দৃষ্টান্তমূলক বাক্যের শব্দগুলির প্রয়োগবিধি প্রদর্শন করেননি। একই শব্দ যে আলোচ্য ভূখন্ডের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, তাও দেখাননি। আবার একটি শব্দ উল্লেখিত অঞ্চলসমূহের মধ্যে ঠিক ও বিশেষ কোন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত, তাও এ অভিধান থেকে জানার উপায় নেই। শব্দের বানানবিধি সম্পর্কেও অনেকে আপত্তি তুলতে পারেন।” তবু এই অভিধান রাজবংশী ভাষার শব্দসম্ভার সংগ্রহ করে রাখায় এখন গবেষকের তা কাজে লাগছে। সুখের কথা বইটির পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছে মাথাভাঙার উপজনভুঁই প্রকাশন। পরিমার্জিত সংস্করণে যুক্ত হবে আরও নতুন শব্দ। নতুন সংস্করণটির সম্পাদনার ভার নিয়েছেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, অরবিন্দ ডাকুয়া, পরিমল বর্মন ও আনন্দ গোপাল ঘোষ। দীর্ঘ দিন পর বইটির পরিশোধিত সংস্করণ প্রকাশের প্রয়োজন হল কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে বলাই যায় যে ইতিমধ্যে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে যুক্ত হয়েছে কোচবিহারের রাজদরবারের সাহিত্য, তৈরি হয়েছে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাদেমি, প্রসারিত হয়েছে রাজবংশী ভাষায় সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজের পরিধিও। সে ক্ষেত্রে পরিবর্ধিত সংস্করণ এই প্রয়োজন মেটাবে।

লেখা ও ছবি : অনিতা দত্ত।

বিরল বাক্স

বিজয়ার পর এখন আর ক’জন ডাকবাক্সে চিঠি ফেলেন। এখন শুভবার্তায় ভরে ওঠে আমাদের বুক পকেটের যন্ত্রটা। মুহূর্তের অনুরণন বুঝিয়ে দেয় চলে এস, অপেক্ষায় আছি। এখন মোবাইল, ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক থেকেও তো সহজেই পাঠানো যায় বার্তা। তাই ডাকঘরের এককালের রমরমা আর নেই। সাদা খামে গন্তব্যের আঁকিবুকি ক্রমশ বিরল হয়ে যাচ্ছে। কেননা অস্থির প্রজন্ম সময়ের মূল্য বুঝে গেছে। তাদের বেড়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। কি-বোর্ড থাকতে আবার কলম ধরে একপাতা লেখা বড্ড সেকেলে তাদের কাছে। তাই দিনে দিনে চিঠির ঐতিহ্য আর্কাইভে যাবার তোড়জোড় শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে ট্র্যাঙ্ককল তুলে দিয়েছে পোস্টাল দফতর। গ্রিটিংস কার্ডও আর ছাপা হয় না সেই রকম।

খাতা-কলমকে পরীক্ষা ছাড়া ব্যবহার করার ইচ্ছা হারাচ্ছে এ প্রজন্ম। তাই ভর দুপুরে পিওনকাকুর বেলের শব্দের জন্য অপেক্ষা করে না কেউ। বেণীমাধবের সবেধন ল্যাপটপটাই এখন নীলমণি। প্রথম অনুভূতি চারটি শব্দেই শেষ করছে অম্বালিকা। কিন্তু একসময় নীরবতা থেকেই চিঠি জন্ম নিয়েছিল। তাই নীরবতা যখন ভাঙে, তখনই মুখবন্ধ খামে অক্ষরমালা উড়ে যেত ডাকবাক্সে। এখন চাকরির আবেদন, আর বিভিন্ন অফিস আর সামাজিক অনুষ্ঠানের দু’এক লাইন লেখা কাগজই ডাকবাক্সের আত্মীয়। নইলে সারা বছর ভেতরটায় শূন্যতা হু হু করে ওঠে। কারণ একবিংশের আধুনিক পরিবারতন্ত্র, বিশ্বায়ন শাসন করছে নেটফোন। সেখানে চিঠির প্রবেশ নিষিদ্ধ। আর তাই উত্তরের চিঠি লেখা হয় না আর। মৌনতায় অনামিকার চাপে ভরে ওঠে ইনবক্স। চিন্তা করবার ক্ষমতা হারিয়ে ভাবলেশহীন তরুণ-তরুণীরা এখন বড্ড একা। মাঝে মাঝে তাই মনের মধ্যে অপেক্ষা করে ধারালো কার্নিস। কারণ নিজেকে মেলে ধরার মতো সাহস আর নেই। যা চিঠি পারত। যা পারত এক পাতার অঙ্গীকার। এখন অসম্ভব, তাই দশ শব্দের বার্তা লিখে হারিয়ে যাচ্ছে, চমকে ওঠা শব্দে যারা এসএমএস লিখে নিজেদের প্রমাণ করে, তারা সময়ের কাছে হেরে যাওয়া মূল্যহীন দাবিদার। আবার কেউ অন্তত একবার কলমটাকে খুলে খাতার উপর ধরে দেখেন পৃষ্ঠাটা জাদুর মতো ভরে গেল। হারিয়ে যাওয়া ডাকবাক্সের কথা ভেবে তো এটা করা যেতেই পারে। কিন্তু সদ্য পেরিয়ে যাওয়া ৯ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড পোস্টাল ডে-র দিন যে আমরা কী করছিলাম, একটু ফিরে দেখার চেষ্টা করি আসুন। মনে রাখুন, বাংলা ও হিন্দি ছবিতে চিঠি নিয়ে মন কেমন করা গানও কম নেই।

লেখা: সন্দীপন নন্দী।

নীলাভর ‘আরশিনগর’

কখনও লালন ফকিরের গান ভেসে আসছে মেঠো পথ ধরে। কখনও সাধু ও ফকিরদের ভোজের আসর বসছে মাঠ জুড়ে। তার মধ্যেই দৌড়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের শিশু-কিশোররা। যাদের নিয়েই স্বপ্ন দেখে নীলাভ গুহচৌধুরী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র নামি কোম্পানির বাস্তুকারের চাকরি ছেড়ে নিতান্তই এক অজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন লালন সাঁই-এর আশ্রম ‘আরশিনগর’। কোচবিহারের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীঘাট লাগোয়া এলাকায় তোর্ষা নদী সংলগ্ন ২৩ বিঘা জমির উপরে ওই আশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে সকাল-সন্ধ্যে বসছে লোকসঙ্গীতের আসর। গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকে প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন ওই আসরে। নীলাভ বলেন, “শুধু নিজের জন্যে বেঁচে থাকতে ভাল লাগছিল না। তাই লালন সাঁইয়ের পথ ধরেছি। একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ আশ্রম গড়ে তুলতে চাই। যেখানে লালনের গান হবে। শিশুদের জন্য স্কুল হবে। অনাথ শিশুদের থাকার ব্যবস্থা হবে। আশ্রমের বাসিন্দারা চাষাবাদ করবেন।” নীলাভের ওই উদ্যোগে গ্রামের বাসিন্দারাও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এলাকার বাসিন্দা বাবলু পাল বলেন, “সংসার ছেড়ে যে যুবক মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে ঠিক করেছেন, তাঁর পাশে না দাঁড়িয়ে পারা যায় না। জেলা, রাজ্য তো বটেই বিদেশ থেকেও অনেকে আসছেন গ্রামে। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকসঙ্গীত শিল্পীরা আসছেন। লালনের গান হচ্ছে। এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমাদের খুব ভাল লাগছে।” চাকিরমোড় এলাকার ভাওয়াইয়া শিল্পী নজরুল হক প্রায় প্রতিদিন যাচ্ছেন ওই আশ্রমে। তিনি বলেন, “সঙ্গীত চর্চার জন্য একটা পরিবেশ দরকার। লালন সাঁইয়ের আশ্রমে আমরা তা পেয়েছি। নানা জায়গা থেকে শিল্পীরা সেখানে জড়ো হচ্ছি। গানে মেতে উঠছি। আমি মূলত ভাওয়াইয়া গান করি। খুব কম লালনগীতিও করি। সেখানে লালনের গানের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের লোকসঙ্গীত হচ্ছে। এর মধ্যে লোকসঙ্গীতের উপরে একটা মেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে। তিন দিন ধরে মেলা চলে।” ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়। নীলাভ জানান, তাঁর বাবা নির্মলবাবু উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণে চাকরি করতেন। অবসরের পর ছেলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। অবসরের পর পাওয়া টাকার একটি অংশ দিয়ে ২৩ বিঘা জমি কেনেন তিনি। তার তিন বছর আগে থেকেই চাকরি ছেড়ে দেশের নানা প্রান্তে গড়ে ওঠা লালন সাঁইয়ের আশ্রমে ঘুরতে শুরু করেন নীলাভ। নদিয়া থেকে ঘুরে এসে তিনি আশ্রম গড়ার কাজ শুরু করেন। আশ্রমে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি ঘর তৈরির কাজ শুরু করেন। চাষের জমি তৈরি করার কাজ শুরু করেন। ফল, ফুল, ধান, সব্জি চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে তিনদিনের লোকসঙ্গীত মেলা হয়। তার আগে জার্মানি থেকে তিন জনের একটি দল সেখানে যায়। তাঁরা লালন সাঁই এবং লোকসঙ্গীতের উপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছেন। তাঁরা এক সপ্তাহ ধরে সেখানে ছিলেন। তথ্যচিত্রের বিষয় নিয়ে সেখানে আসা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন। ১ নভেম্বর থেকে তিন দিন সেখানে সাধু ও ফকিরদের ভোজের আয়োজন হয়েছে। সেই আসরে বাংলাদেশ থেকে এসেও অনেকে যোগ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

uttar karcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE