পাম্প সেট বসিয়ে এই ভাবেই তিস্তা সেচ প্রকল্পের ক্যানাল জল-চুরি চলছে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে। নিজস্ব চিত্র।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের ক্যানেলে পাম্পসেট বসিয়ে জল তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ডুয়ার্সের একাংশ ছোট চা বাগানগুলির বিরুদ্ধে। এতে ক্যানেলের জলের স্তর নেমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এতে ছোট ছোট শাখা ক্যানেলগুলিতে জল ঢুকতে পারছে না। সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, শুখা মরসুমে সেচের জলই একমাত্র ভরসা। বর্ষা আসতে অনেক দেরি। তার আগে জল পেতে অসুবিধা হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জল তুলে নেওয়া যে বেআইনি স্বীকার করছেন চা চাষিরা।
তিস্তা সেচ প্রকল্প সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ক্যানেলের জল চা বাগানে ব্যবহার করা অবৈধ। বেশ কিছু এলাকায় সেচের জল নিয়ে চা বাগানে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। উর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।” রাজাডাঙা ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সম্পাদক মেহবুব আলম অবশ্য বলেন, “ নানা রাজনৈতিক মদতেই এই শ্রেণির চা চাষিরাা একাজ করছেন। ওঁদের আর্থিক সঙ্গতি তেমন না থাকার জন্য পাম্পসেট কিনতে পারে না। তা থেকেই চুরির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আমরা বারণ করলেও অনেকেই কথা শুনছেন না।” তিস্তা নদীর বাঁ হাতি খালের ৩০ কিমি এলাকা রাজাডাঙা, ক্রান্তি, লাটাগুড়ি দিয়ে গিয়েছে। ওই সব জায়গাতেই পাশাপাশি রয়েছে ধানের খেত ও চা বাগান। চাষিরা জানান, শুখা মরসুমে জল দরকার সব চাষের ক্ষেত্রেই। তাই হাতের কাছে সহজলভ্য জল পাওয়ায় এই ভাবেই জল চুরির রাস্তাই বেছে নিচ্ছে চাষিরা। অনেকে অবশ্য না জেনে চা বাগানে জল ব্যবহার করছে। সেচ দফতরের নজরদারির অভাব রয়েছে। তাঁরা ঠিকঠাক নদরদারি না করায় এই প্রবণতা বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy