স্নাতক স্তরের ২০টি বিষয়ের বোর্ড অফ স্টাডিজের প্রথম বৈঠক মালদহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নয়, কলকাতায় হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠকের সদস্যদের একাংশ। বোর্ড অফ স্টাডিজে চিঠি পৌঁছতে শুরু করতেই সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর থেকে কলকাতায় বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠক শুরু হচ্ছে। কলকাতায় ওই বৈঠক বাতিল করে মালদহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা করার দাবিতে ইতিমধ্যেই বোর্ড অফ স্টাডিজের একাধিক সদস্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলের সদস্যদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, “স্নাতক স্তরের প্রশ্নপত্র তৈরি সংক্রান্ত গোপনীয়তা রাখার জন্যই কলকাতায় বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” যদিও বোর্ড অফ স্টাডিজের এক সদস্যের বক্তব্য, প্রথম বৈঠকে প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক ও প্রশ্নপত্র কার কার কাছ থেকে নেওয়া হবে তা ঠিক করা হয়। সুতরাং বোর্ড অফ স্টাডিজের প্রথম বৈঠক কলকাতায় ডাকার মানেই হয় না। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, “স্নাতকোত্তর কোর্সের বিভিন্ন বিষয়ের বোর্ড অফ স্টাডিজের সদস্যেরা বেশিরভাগ কল্যাণী, বর্ধমান, কলকাতা, বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের। কয়েক বছর আগে প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ যাতে ফের না ওঠে তার জন্য স্নাতকোত্তর কোর্সের বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠক কলকাতায় ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্নাতক স্তরে বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠক কলকাতায় করতে হবে, এ কথা আমি কখনই বলিনি।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জীববিদ্যা বিভাগের বোর্ড অফ স্টাডিজের সাত সদস্যের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি গৌড়বঙ্গের তিন জেলায়। বাকি দু’জনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। জীববিদ্যার বোর্ড অফ স্টাডিজের এক সদস্য ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়। সাতজনের সদস্যের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। অথচ এখানকার ক্যাম্পাসের পরিবর্তে কলকাতায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। আমাদের সাত জনের কলকাতায় যাতায়াত ও খাওয়া থাকার খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। একটি বৈঠকেই সব মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।” আর এক সদস্যের ক্ষোভ, “এখানে এই বৈঠকগুলি করলে এত টাকা খরচ হত না।”
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সদস্য নরেশ রায় বলেন, “ওঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি আমি উপাচার্যকে জানিয়েছি। ওই বৈঠক যাতে মালদহে ফিরিয়ে আনা যায়, তার চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy