লোকসভা নির্বাচনে দীপা দাশমুন্সির পরাজয়ের পর কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর চাপান-উতোরের সুযোগ নিতে আসরে নেমে পড়ল তৃণমূল। সোমবার তারা কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়কে ‘হেনস্থা’র নিন্দা করে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, “দলীয় প্রার্থীর হারের কারণ পর্যালোচনা না করে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক প্রমথনাথবাবুকে যে ভাবে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা অপমান করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। তাঁর মতো শিক্ষিত ও বিদ্বজ্জনকে আমরা আমাদের দলে স্বাগত জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, মালদহে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর চাপানউতোর শুরু হওয়ার পরে কংগ্রেসের তরফে সেখানে দু’জনকেই তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মালদহের জেলা তৃণমূল সভানেত্রী সাবিত্রীদেবী ও পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু দু’জনেই অবশ্য দলত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। একই ভাবে প্রমথনাথবাবুও এখনই কংগ্রেস ছাড়ার ব্যাপারে কিছু ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে ভাবে দলের কর্মী সমর্থকরা আমাকে অপমান করেছেন, তা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন যে কোনও মানুষেরই খারাপ লাগার কথা। তবে আমি ২০১৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েই থাকতে চাই। পরেরটা পরে দেখা যাবে।”
ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দীপাদেবী কালিয়াগঞ্জের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে মোট ১০ হাজার ভোটে ও বিধানসভা এলাকায় ১৪২৯টি ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। তাই রায়গঞ্জে দীপাদেবীর হারের পরে প্রমথনাথবাবুকে দায়ী করে কংগ্রেসের একদল কর্মী-সমর্থক। গত শনিবার কালিয়াগঞ্জের তালতলায় দলের শহর ও ব্লক কার্যালয়ে ঢুকে তিনটি চেয়ার ভাঙচুরের পরে প্রমথনাথবাবুকে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অপমানিত বোধ করে প্রমথনাথবাবু পার্টি অফিসে যাবেন না বলে রবিবার ঘোষণা করেন। তবে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের অনুরোধে সোমবার কিছুক্ষণের জন্য দলীয় অফিসে যান কালিয়াগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি প্রমথনাথবাবু। তাঁর কথায়, “মোহিতবাবুর অনুরোধে এদিন পার্টি অফিসে গিয়েছিলাম ঠিকই। তবে ভবিষ্যতে হয়তো নিয়মিত পার্টি অফিসে যেতে পারব না।” মোহিতবাবু জানান, প্রমথনাথবাবুর সঙ্গে দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ যেরকম আচরণ করেছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দলীয় স্তরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy