Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পণের দাবিতে বধূ খুন, গ্রেফতার স্বামী

বাপের বাড়ি থেকে গাড়ি আনার দাবি পূরণ না করায় এক বধূকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ধূপগুড়ি শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটলেও, বধূর পরিবারের তরফে শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৫
Share: Save:

বাপের বাড়ি থেকে গাড়ি আনার দাবি পূরণ না করায় এক বধূকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ধূপগুড়ি শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটলেও, বধূর পরিবারের তরফে শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই পুলিশ বধূর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় আরও চার জনের নামে গাড়ি পণ চেয়ে বধূর উপরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পরে অনান্য অভিযুক্তরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন শিলিগুড়িতে বধূর মৃতদেহ আনা হলে থানার সামনে দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান আত্মীয়রা।

ধূপগুড়ি থানার আইসি যুগলচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “ধৃত স্বামীর নাম নিতাই দত্ত। তিনি পেশায় ডেকোরেটর। বধূর মৃত্যু কেমন করে হয়েছে তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছি।” ধৃত নিতাইবাবুর দাবি, বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরে দড়ির ফাঁসে ঝুলে স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। যদিও নিহত বধূর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেগুলি দেখেই তাঁরা নিশ্চিত বধূকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বধূর মা শিলিগুড়ির লোয়ার ভানুনগরের বাসিন্দা মালতি সরকার অভিযোগ করে বলেন, “মেয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওঁকে পিটিয়ে খুন করে আত্মহত্যার গল্প সাজানো হয়েছে।”

বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মালতি দেবী জানান, গত বছর ৯ জুলাই তাঁর ছোট মেয়ের সঙ্গে সামাজিক মতে নিতাইবাবুর বিয়ে হয়। পাত্রপক্ষের দাবি মেনে বিয়েতে অলংকার এবং আসবাবে সাজিয়ে দেন মেয়েকে। অভিযোগ, বিয়ের পরে দ্বিরাগমন থেকে ফিরে যাওয়ার পরে জামাই, শাশুড়ি, ভাসুর, বড় বউ এবং ভাসুরের ছেলে বাপের বাড়ি থেকে চার চাকার গাড়ি আনার জন্য বধূকে চাপ দিতে শুরু করে। তিনি বলেন, “আর্থিক সমস্যার কথা জানানো হলে মেয়ের উপরে নির্যাতন শুরু হয়।” অত্যাচারের কথা শুনে দোলের পরে ধূপগুড়িতে গিয়ে আলোচনার কথা জানানো হয় বলে মালতি দেবী জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে জামাইয়ের ফোন পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেখি মেয়ের দেহ পড়ে আছে।”

ওই বধূর বাড়ি ভক্তিনগর থানার ভানুনগর এলাকায়। এদিন দুপুরের পর দেহ শিলিগুড়িতে আনা হয়। দেহ নিয়ে স্বামী সহ শাশুড়ি ও অন্যদেরও গ্রেফতার করতে হবে দাবি তুলে ভক্তিনগর থানার সামনে আধ ঘন্টা বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder dhupguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE