Advertisement
E-Paper

পরিকল্পনা-গলদে প্রকল্প হয়নি

ছয় বছর আগে কাজ শুরু হলেও হলদিবাড়ি পুরসভায় বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল নেওয়ার পরিকল্পনা বা ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প রূপায়ণ হয়নি। জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য তৈরি করা ভ্যান রিকশা পড়ে নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, “কর্মী নিয়োগের সমস্যা এবং বাসিন্দাদের সহযোগিতা না মেলায় পরিকল্পনা রূপায়িত হয়নি। প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি।”

রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৪ ০১:৫৯

ছয় বছর আগে কাজ শুরু হলেও হলদিবাড়ি পুরসভায় বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল নেওয়ার পরিকল্পনা বা ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প রূপায়ণ হয়নি। জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য তৈরি করা ভ্যান রিকশা পড়ে নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, “কর্মী নিয়োগের সমস্যা এবং বাসিন্দাদের সহযোগিতা না মেলায় পরিকল্পনা রূপায়িত হয়নি। প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি।”

কেন্দ্রের পরিকল্পনা মতো ২০০৮ সালে বাড়ি থেকে জঞ্জাল নেওয়ার জন্য ২০টি ভ্যান রিকশা তৈরি করিয়ে ছিল পুরসভা। প্রতিটির জন্য খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। সেগুলি করেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য পদার্থ নিয়ে আসার কথা ছিল। অভিযোগ, কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগ, টাকার সংস্থানও করতে পারেনি পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “সব ওয়ার্ডে সভা করে বাসিন্দাদের কাছে মাসে দশ টাকা দেওয়ার আবেদন রাখা করা হয়েছিল। সেই টাকা দিতে কেউ রাজি হয়নি। কর্মী নিয়োগ করা যায়নি। পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত করা যায়নি।”

পুরসভার বিরোধী নেতা তৃণমূলের সুব্রত বসু বলেন, “পুরসভার উদ্যোগে সভা হয়নি। বাসিন্দাদের কাছে কোনও আবেদন রাখা হয়নি। কাউন্সিলরদের সভায় এ ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।” পুরসভায় স্থায়ী সাফাই কর্মীর সংখ্যা ৮ জন। তার দুই মহিলা। তিন জন কর্মী প্রতিদিনের হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করেন। অস্থায়ী কর্মী ১৩-২০ জন। তাঁরা দরকার মতো কাজ পান। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট- এ বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করার জন্য ২০ কর্মী দরকার। প্রতিদিন ৩ টন জঞ্জাল হয়, উৎসব-অনুষ্ঠানে বাড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এখনও আলোচনা করে চেষ্টা করলে এই প্রকল্প চালু হতে পারে। শহরে জঞ্জাল অপসারণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা চালু হবে। নতুন করে সভা করে বাসিন্দাদের মত নেওয়া দরকার। পরবর্তীতে জঞ্জাল থেকে সার এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা হতে পারে। পরিকল্পনা রূপায়ণে ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার ও ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দেয়।

raja bandopadhyay haldibari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy