জলপাইগুড়ি হাসপাতালে আহত সন্ধ্যা রায় ও দীপিকা রায়। ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাড়ি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ঘণ্টাখানেক আগেই তাই সেখানে পৌঁছতে চেয়েছিল হলদিবাড়ি লাগোয়া হেমকুমারির বাসিন্দা পাঁচ ছাত্রী। শনিবার সাতসকালেই বাসে রওনা হয় তারা। কিন্তু মাঝপথে বাস উল্টে যাওয়ায় ওই পাঁচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ অন্তত ১৮ জন যাত্রী আহত হন। শেষ পর্যন্ত পাঁচ পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিন জন পরীক্ষা দিয়েছে।
হাত ভাঙায় দু’জন পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ দিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বাঁকুড়ার মাকুড়গ্রামে পিক-আপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয় নিকুঞ্জপুর হাইস্কুলের ছাত্রী কবিতা পাল। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তার চিকিৎসা চলছে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আশ্বাস, “মাধ্যমিকে আহত হয়ে যারা পরীক্ষা দিতে পারেনি, তাদের মতো ওই দু’জনের জন্যও পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে।”
আহত ছাত্রীরা সকলেই দেওয়ানগঞ্জ হাইস্কুলের পড়ুয়া। উচ্চ মাধ্যমিকের কলা বিভাগের সংস্কৃত পরীক্ষা ছিল এ দিন। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল পাঁচ কিলোমিটার দূরের কমলাকান্ত হাইস্কুলে। সেখানে যাবে বলে যে বাসে ছাত্রীরা চেপেছিল, সেটি হলদিবাড়ির গিরিয়ার মোড়ে নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আহতদের মধ্যে তিন ছাত্রী সন্ধ্যা রায় ও দীপিকা রায় ও শেফালি রায়কে ভর্তি করানো হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে।
হাত ভাঙায় সন্ধ্যা ও দীপিকা পরীক্ষা দিতে পারেনি। তারা বলে, “প্রস্তুতি ভাল ছিল। হাত না ভাঙলে আজই পরীক্ষাটা দিতে পারতাম!” দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়েছিল তাদেরই সহপাঠী শেফালি রায়। তবে পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওই হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দেয় সে।
হলদিবাড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কেন্দ্রে গিয়েই পরীক্ষা দেয় আহত ছাত্রী রবিতা রায়। ওই হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দিয়েছে আর এক আহত ছাত্রী শম্পা রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy