স্থায়ী স্ট্যান্ড না থাকায় চালসা মোড়ে রাস্তার দু’ধারে এ ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে ভাড়ার গাড়িগুলি। —নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সে যে কোনও জায়গাতেই ঘুরতে এলে একবারের জন্য হলেও পেরোতে হবে চালসা। অবস্থানগত দিক থেকে এমনই গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদটি। সেই চালসার প্রাণকেন্দ্র চার মাথার মোড়েই নিত্য যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দা ও পর্যটকেরা। বাসিন্দারা জানান, পর্যটকরা অনেকেই চালসা থেকে গাড়ি ভাড়া করে ডুয়ার্সের পাহাড়-জঙ্গলে যান। ডুয়ার্সের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে চালসা থেকেই ডুয়ার্সের চার দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তা বিভিন্ন দিকে গিয়েছে। দক্ষিণে লাটাগুড়ি, ময়নাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি, উত্তরে মেটেলি হয়ে সামসিং, পূর্বে বীরপাড়া হয়ে আলিপুরদুয়ার এবং পশ্চিমে মালবাজার সেবক হয়ে শিলিগুড়ি। ডুয়ার্সের যে প্রান্তেই পর্যটকেরা যান না কেন, একবারের জন্যেও চালসায় আসতেই হয় সবাইকে। চালসার এই প্রাণকেন্দ্র চার মাথার মোড়টি এলাকায় ‘চালসা গোলাই’ বলে পরিচিত। সেই চালসা গোলাইতেই যানজটের জেরে হয়রানি রোজকার ব্যাপার।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছোটগাড়ির স্ট্যান্ড না থাকায় চালসায় জাতীয় সড়কের দু’ধারেই দাঁড়িয়ে থাকে গাড়িগুলি। দূরপাল্লার বাস, পিকআপ ভ্যান, পাহাড়ে যাওয়ার জিপ, ট্রাক সব মিলিয়ে যানজটে নাকাল হতে হয়। পাহাড়ের গায়ে থাকা চালসায় জাতীয় সড়কও খুব চওড়া নয়। তার উপরে ওই এলাকায় দুইপাশে ছোট পাহাড়ি টিলা থাকায় জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটাও বিপজ্জনক। দিনভর এমন অবস্থা চলতে থাকে। চালসাতে যানজট সমস্যা মেটাতে ছোটগাড়ির জন্য পৃথক স্ট্যান্ড তৈরির দাবি উঠেছে। মালবাজার সার্কেল ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার বলেন, “মেটেলি থানার পুলিশ চালসা চৌপথিতে যানজট মোকাবিলার চেষ্টা করে। তবে স্থায়ী স্ট্যান্ড থাকলে এই পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে।”
চালসাতে ছোট গাড়ির একমাত্র সংগঠন হল ডুয়ার্স হুইল সোসাইটি। ২০০-র কাছাকাছি গাড়ি এই সংগঠনে আছে। রোজ চালসা মোড়ে গাড়িগুলি দাঁড়ায়। সংগঠন সম্পাদক বিনয় প্রধান, কোষাধ্যক্ষ প্রবীন দর্জি বলেন, “রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা ঠিক নয়। কিন্তু উপায় নেই। স্ট্যান্ডের দাবি নানা মহলে জানিয়ে লাভ হয়নি। মেটেলি পঞ্চায়েত সমিতিকেও স্মারকলিপি দিয়ে সমস্যার কথা বলা হয়েছে।” মেটেলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সফিরুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “বিগত পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড থাকাকালীনই স্ট্যান্ড তৈরি দাবি উঠেছিল। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy