Advertisement
E-Paper

হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন নানা দলের

রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগ থেকে এক তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজনৈতিক দলগুলি। রায়গঞ্জের সূর্যোদয় মূক ও বধির হোমের প্রাক্তন আবাসিক ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পর মাস খানেক হতে চললেও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৮

রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগ থেকে এক তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজনৈতিক দলগুলি। রায়গঞ্জের সূর্যোদয় মূক ও বধির হোমের প্রাক্তন আবাসিক ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পর মাস খানেক হতে চললেও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সূর্যোদয় হোম থেকে সাধারণ মেয়েদের দেবীনগর এলাকার একটি হোমে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসন। সেখানে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানোর পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা ওই তরুণী গত জুলাই মাসে চোপড়া এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে সুর্যোদয় হোমে পাঠানো হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার প্রায় একমাস পর বুধবার ওই তরুণীর ছবি ও তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সূর্যোদয় হোম কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিন বিকালে হোম কর্তৃপক্ষ ইমেলের মাধ্যমে রায়গঞ্জ থানায় ওই তরুণীর ছবি ও তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “ওই তরুণীকে উদ্ধার করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।”

জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের অভিযোগ, “হাসপাতালে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। ওই তরুণী নিখোঁজ হয়ে গেলেও হাসপাতালের তরফে সময়মতো পুলিশকে খবর দেওয়া হয়নি।” সিপিএমের রায়গঞ্জ জোনাল সম্পাদক অনিরুদ্ধ ভৌমিক বলেন, “রাজ্যের হাসপাতালের নিরাপত্তা যে কতটা বেহাল হয়ে পড়েছে, তা রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। পুলিশও সক্রিয় নয়।” অবিলম্বে ওই তরুণীকে উদ্ধার ও হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর চক্রবর্তী।

যদিও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অমল আচার্য বলেন, “রোগীদের ভিড়ের চাপে নিরাপত্তারক্ষীরা সমানভাবে সবার উপর নজর রাখতে পারেন না। হোম কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ওই তরুণীর উপর নজর রাখা। পুলিশকে দ্রুত তরুণীকে উদ্ধারের জন্য বলা হয়েছে।” হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে পর্যাপ্ত নেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের সহকারি সুপার গৌতম দাস। তিনি বলেন, “বেসরকারি সংস্থার তিনজন নিরাপত্তারক্ষী পর্যাপ্ত নয়।”

raiganj security hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy