টানা ২৯ দিন অনশনের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ। প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগার সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট ও রক্তচাপ জনিত সমস্যা-সহ অসুস্থতার নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করেছে এই জেল বন্দি সাংসদের। জেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে অন্য কোনও বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চাইলেও, নবান্নের তরফে কুণাল ঘোষকে কোনওভাবেই জেল চত্বরের বাইরে না নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে অনশন করছেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল। দু’একটি দাবি জেল কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও কুণালের অধিকাংশ দাবিই পূরণ করা সম্ভব নয়, জানিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। ফলে তিনি অনশন প্রত্যাহার করতেও রাজি হননি। শনিবার তাঁর অনশন ২৯ দিনে পড়ল। অনশন শুরুর পর থেকেই জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁকে। সেই হাসপাতালেই এ দিন সকালে তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। জেল সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকেই কুণালের অবস্থার অবনতি শুরু হয়। তাঁর রক্তচাপ দ্রুত ওঠানামা করতে শুরু করে। এ ছাড়া পেটে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। মাঝে-মধ্যে তাঁর কাঁপুনি হতে থাকে। কুণাল ঘোষের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল হাসপাতালের চিকিৎসক কুণালকে রাতেই বড় কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জেল সুপার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জানান, কুণাল ঘোষকে বাইরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আপত্তি রয়েছে রাজ্য সরকারের। সুপারের কথা শুনে জেল হাসপাতালের চিকিৎসক চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দেন বলে কুণাল ঘনিষ্ঠদের দাবি। অবশেষে রাতেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তিন চিকিৎসক প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে যান কুণালকে পরীক্ষা করতে। শনিবার সকালে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কুণাল ঘোষের পারিবারিক সূত্রের খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও খোঁজখবরই জেল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন পরিবারকে দিচ্ছে না। সংবাদমাধ্যম থেকেই কুণালের শারীরিক অবস্থান খবর পাচ্ছেন তাঁরা। অন্য সময় সংশোধানাগারের ফোন থেকে তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু, এখন হাসপাতালে থাকায় গত ১০ দিনে পরিজনদের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপও হয়নি বলে কুণাল ঘোষের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি সত্ত্বেও সাংসদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে কি না, তা নিয়ে এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁর পরিজনরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy