ধৃত মুসাউদ্দিন। ভবানী ভবনে তোলা নিজস্ব চিত্র।
আইএস-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল সিআইডি।
সোমবার রাতে বর্ধমান থেকে মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসা নামে সন্দেহভাজন ওই যুবককে আটক করেন গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার ভবানী ভবনে নিয়ে এসে টানা বেশ কয়েক ঘণ্টা জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি’র দাবি জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে মুসাউদ্দিনের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
বীরভূমের লাভপুরের বিডিও পাড়ায় বাড়ি মুসার। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে থাকত বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। আর সেখান থেকেই নাকি বিভিন্ন জঙ্গি সংঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সে। ওই যুবকের সঙ্গে সিরিয়ার আইএস জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা সফি আরমারের নিয়মিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে কথা হত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: শুধু জঙ্গিদের হাতে নয়, ঢাকায় বাহিনীর গুলিতেও মৃত্যু হয়েছে পণবন্দির
সিআইডি আরও জানতে পেরেছে, বছর পঁচিশের মুসার সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার মারফত বাংলাদেশের সন্দেহভাজন দু’জন জঙ্গির যোগ ছিল। সেই কারণে টানা দশ ঘণ্টা জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, একটি ছুরি এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, সোমবার চেন্নাই থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়ায় আসে মুসাউদ্দিন। তার পর ধর্মতলায় গিয়ে ধারাল অস্ত্র কেনে। এর পর সে হাওড়া স্টেশন থেকে আপ বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে চড়ে। চেন্নাই থেকেই গোয়েন্দারা তার পিছু নিয়েছিলেন। বর্ধমান রেল পুলিশের সাহায্য নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে তাকে আটক করা হয়। বর্ধমান জিআরপি থানায় তাকে রাতভর জেরা করে বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবং সিআইডি-র অফিসারেরা। সেখান থেকেই এ দিন ভোরে তাকে ভবানী ভবনে সিআইডি-র দফতরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অনেক ক্ষণ জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামিকাল তাকে আদালতে তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy