গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবির বিরোধিতা করে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করেছে শিলিগুড়ি। এ বার পাহাড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, হামলা, হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে সিকিম সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হল শিলিগুড়িতে।
রবিবার দুপুরে শহরের সেবক মোড়ে মানব বন্ধন ছাড়াও সিকিম পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে কুশপতুল পোড়ানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পাহাড়ের আন্দোলনকারীদের একাংশ হিংসার পথ বেছে নেওয়ায় নানা মামলা করেছে সরকার। আর সেই অভিযুক্তদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে সিকিম। শনিবার নামচিতে মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির গোপন বৈঠক হচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সে রাজ্যের পুলিশকে সব জানিয়ে ধরপাকড়ে নামলেও অসহযোগিতা করা হয়েছে। এমনকী, রাজ্য পুলিশের অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই সুযোগে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাচ্ছে। তাই সিকিমের পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার মামলা করা দরকার।
শহরের ‘জয় বাংলা’ নামের একটি সংগঠনের তরফে এ দিন ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের তরফে প্রদীপ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সিকিম আমাদের পার্শ্ববতী রাজ্য। শিলিগুড়ির উপর যোগাযোগ, বাণিজ্য, খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে রাজ্যটি নির্ভরশীল। আমাদেরও বহু মানুষ সেখানে থাকেন। কিন্তু পাহাড়ের আন্দোলনের পর থেকেই সিকিম উস্কানিমূলক কাজ করছে। রাজ্যকে সাহায্যের বদলে গুরুতর দেহদ্রোহিতার মামলার অভিযুক্তদের সহযোগিতা করছে। এদের বিরুদ্ধেও মামলার দাবিতে আমরা পথে নেমেছি।’’