খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অকথ্য কটূক্তি করেছেন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। বিভিন্ন মহলে নিন্দা-প্রতিবাদের সঙ্গে সঙ্গে এ বার তাঁর বিরুদ্ধে জনস্বার্থের মামলাও দায়ের করা হচ্ছে। আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলাটি দায়ের করবেন কৃষ্ণনগরের আইনজীবী শমীক সান্যাল। তাপস কুকথা বলেছিলেন কৃষ্ণনগরেরই নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামে।
শমীকবাবুর মামলাটি লড়বেন আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, সংবিধান সাংসদকে যে-ক্ষমতা দিয়েছে, তাপস পাল তার সম্পূর্ণ অপব্যবহার করেছেন। এর পরে তাঁর আর সাংসদ-পদে থাকার অধিকার থাকে না। তিনি যা বলেছেন, সেটা শুধু কুরুচিকরই নয়, তা মহিলাদের ধর্ষণ করার জন্যও দলীয় কর্মীদের প্ররোচিত করেছে। সেই জন্যই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা মেনে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
এই ধরনের বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না আইনজীবীরা। হাইকোর্টের এক প্রবীণ আইনজীবী জানান, সাংসদদের বিরুদ্ধে ভোটগণনা বা দুর্নীতিমূলক আচরণ নিয়ে মামলা হয়েছে। কিন্তু এক জন সাংসদ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরেন বলে দাবি করছেন। নির্দেশমতো না-চললে মহিলাদের ধর্ষণ করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। “এমন মন্তব্য নিয়ে হাইকোর্টে আগে মামলা হয়েছে বলে মনে পড়ছে না,” বললেন ওই প্রবীণ।
আইনজীবী সুব্রতবাবুর মতে, এই মন্তব্য করে তাপস গ্রামের মহিলাদের অপমান করেছেন। মহিলাদের প্রতি এই ধরনের উক্তি মানুষের মৌলিক নাগরিক অধিকারের বিরোধী। সুব্রতবাবুর আশঙ্কা, ওই সাংসদ যে-ভাবে মহিলাদের ধর্ষণ করতে প্ররোচনা জুগিয়েছেন, তাতে গ্রামে গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা বাড়াবে। অনেক আইনজীবীরই বক্তব্য, সারা দেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠছে। সরকার কড়া আইন প্রণয়ন করছে। অথছ নির্বাচিত এক সাংসদ, প্রকাশ্যে খুন ও ধর্ষণে মদত দিচ্ছেন! এখনই তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন আইনজীবীদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy