স্ত্রীর হাতে একটি ব্যাগ তুলে দিয়ে তড়িঘড়ি জুট মিলের কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। বেরোনোর আগে বলে গিয়েছিলেন, ‘ব্যাগে দামি জিনিস রয়েছে, কেউ হাত দেবে না। ফিরে এসে পুলিশের কাছে যাব।’ স্বামীর কথার কিছুই অবশ্য বুঝতে পারেননি ওই মহিলা।
মন্টু মাহাতো নামে ওই যুবকের খোঁজে কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে এক দল পুলিশ আসায় হকচকিয়ে যান তাঁর স্ত্রী। তাঁর থেকে সব শুনে জুট মিলে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যায় পুলিশ। তার পরেই জানা যায়, ওই ব্যাগটি আসলে দুবাইয়ের বাসিন্দা এক দম্পতির। তাতে রয়েছে লক্ষাধিক টাকার সোনা-হিরের গয়না এবং টাকা।
পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে দুবাই থেকে এসে লিলুয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন রামদয়াল সিংহ ও রুক্মিণী সিংহ। শুক্রবার বিকেলে তাঁরা লিলুয়া ডন বস্কো এলাকা থেকে একটি রিকশায় উঠেছিলেন। আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরে রিকশা থেকে ওই ব্যাগটি নামাতে ভুলে যান তাঁরা। তাঁদের নামিয়ে ওই রিকশাচালক, জুট মিলের অস্থায়ী কর্মী মন্টু শিমুলতলা ঘাট এলাকার বস্তির দিকে চলে যান। পুলিশকে মন্টু জানিয়েছেন, ফেরার সময়ে তিনি দেখেন, সিটের উপরে ব্যাগটি পড়ে। কারখানায় যাওয়ার তাড়া থাকায় স্ত্রীর কাছে ব্যাগটি রেখে যান। শনিবার মন্টু বলেন, ‘‘ভয়ে খুলেও দেখিনি। মনে হয়েছিল দামি কিছু আছে। কিন্তু এত দামি জিনিস আছে বুঝিনি।’’