ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। — নিজস্ব চিত্র।
আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল খিদিরপুর থেকে ধৃত হাওড়ার যুবক মহম্মদ সাদ্দামের। সেই সূত্র ধরেই পশ্চিম এশিয়ার ওই ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল সাদ্দামের বন্ধু সৈয়দ আহমেদেরও। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। শনিবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
সাদ্দাম এবং সৈয়দকে হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দামের সঙ্গে আইএসের যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল। তদন্তকারীদের মতে, বছর দুয়েক আগে থেকে আইএসের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল সাদ্দামের। তাঁদের সঙ্গে সমাজমাধ্যম মারফত সাদ্দাম যোগাযোগ রাখতেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মতে, সাদ্দামের হয়তো পরিকল্পনা হয়তো ছিল বিদেশে যাওয়ার। তবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, তদন্তকারীদের সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, সাদ্দাম এবং সৈয়দ হামলার ছক কষেছিল। সেই জন্য তাঁরা অস্ত্র এবং টাকা সংগ্রহ করছিলেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের থেকে আরও তথ্য পেতে তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।
সাদ্দাম এবং সৈয়দ দু’জনেই মেধাবী ছাত্র। সাদ্দাম এমটেক করেছিলেন। অন্য দিকে, সৈয়দ পড়াশোনা করেছিলেন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ নিয়ে। সৈয়দ তাঁর বাবার নির্মাণের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ধৃত দু’জন প্রায় সমবয়সি। তাঁদের বয়স ২৮-৩০ বছরের মধ্যে। তাঁরা দু’জনেই বন্ধু। দু’জনের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল দু’জনের। ধৃতদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, ল্যাপটপ, মোবাইল, বিভিন্ন নথি-সহ নানা জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সে গুলিও পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, কয়েকটি সন্দেহভাজন সংস্থার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy