গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্ক ছাড়ালে তিনি টুইটার ছেড়ে দেবেন। তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এমনই টুইট করেছেন। লিখেছেন, ‘বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে খবর দেখাচ্ছে। সেই সংবাদমাধ্যমগুলি বিজেপিকে সমর্থন করছে। বাস্তবে বিজেপিকে লড়তে হবে দু’অঙ্ক ছাড়ানোর জন্য’। এর পর তিনি লেখেন, ‘দয়া করে আমার এই টুইটটি সেভ করে রাখুন। বিজেপি এর থেকে ভাল ফল করলে আমি এই জায়গা ছেড়ে দেব’। ভোট কৌশলী হলেও পিকে-কে এমন মন্তব্য করতে এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মেদিনীপুরের জনসভা থেকে জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, ২০০-র বেশি আসন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। বর্তমানে তৃণমূলের ভোট কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত প্রশান্তের গলায় যেন সেই দাবির পাল্টা জবাব শোনা গেল।
For all the hype AMPLIFIED by a section of supportive media, in reality BJP will struggle to CROSS DOUBLE DIGITS in #WestBengal
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 21, 2020
PS: Please save this tweet and if BJP does any better I must quit this space!
মেদিনীপুরের জনসভা থেকেই শুধু নয়, এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-এর বেশি আসন পাওয়ার দাবি করেছেন অমিত-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অমিত বলেছিলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসনে জিতবই। যাঁদের হাসার, তাঁদের হাসতে দিন। বিজেপির স্লোগান হবে, ‘অব কি বার, ২০০ পার’।’’
পিকে-র টুইটের পাল্টা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন টুইটারে লেখেন, ‘অন্যের ভবিষ্যদ্বাবানীর উপর বিজেপি চলে না, আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই তৈরি করি। অমিত শাহ ও জেপি নড্ডা-জি ঘোষণা করেছেন, ‘দিদি একা হয়ে যাবেন’ আর ‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ২০০ আসন জিতবে’। আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা আর বিদায় জানাই।’
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল এই প্রসঙ্গে দেখে নেওয়া যেতে পারে। ২০১৬ সালে তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন ছিল ২১১। অন্য দিকে এনডিএ-র প্রাপ্ত আসন ছিল ৬টি। সেখান থেকে একক দল হিসাবে বিজেপির ২০০ পার করে যাওয়া ‘ম্যাজিক’ বলেই হতে পারে কোনও পক্ষের।
তবে মনে রাখতে হবে আগের বারের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪২টার মধ্যে ১৮টা আসন পায়। যার পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের পালে ‘হাওয়া’ লেগেছে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরই মধ্যে তৃণমূল শিবিরেও ‘ভাঙন’ ধরেছে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো ‘হেভিওয়েট’ নেতা বিজেপিতে গিয়েছেন। যার ফলে গেরুয়া শিবির হয়তো ‘বিশ্বাস’ করছে, তারা ২০০-র বেশি আসন পাবে বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু পিকের দাবি, বাস্তব অন্য কথা বলছে।
আরও পড়ুন: ইস্তফাপত্র বিতর্কে কথামতো শুভেন্দু স্পিকারের কাছে, যাবেন রাজভবনেও
আরও পড়ুন: পেটে সংক্রমণ, মুসৌরিতে ছবির সেটে গুরুতর অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী