তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর সরস্বতী পুজো হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে। ফাইল চিত্র ।
ক্যাম্পাসের ভিতরে নয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর সরস্বতী পুজো হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে। কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির আহ্বায়ক প্রান্তিক চক্রবর্তী। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই হবে তাঁদের সরস্বতী পুজো।
দু’দিন আগেও প্রেসিডেন্সির টিএমসিপির ছাত্রনেতারা হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজো করা থেকে তাঁদের ‘কেউ আটকাতে পারবে না’। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল করতে দেখা গেল তাঁদের। প্রান্তিকের দাবি, তাঁরা কোনও সংঘাত চান না। সেই কারণেই ক্যাম্পাসে নয় গেটের বাইরেই পুজোর আয়োজন করা হবে। প্রান্তিকের কথায়, ‘‘কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সদর্থক সাড়া মেলেনি। পুজো মানে আবেগ। আর সেই আবেগ থেকেই আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু টিএমসিপি কোনও ভাবেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে যাবে না। তবে পুজো আমরা করছি। ছাত্র পরিষদের সদস্য এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মিলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে এই পুজো করা হচ্ছে।’’
টিএমসিপির তরফে পুজো করার আর্জি জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রেসিডেন্সি ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ক্যাম্পাস। আর সেই কারণেই পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই প্রসঙ্গে প্রান্তিকের মন্তব্য, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের অর্থ কী? মানে, সবাই সব ধর্ম পালন করতে পারবে। এটি একটি ইতিবাচক শব্দ। এখানে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যাতে তাঁদের উৎসব উদ্যাপন করতে পারে তার অনুরোধই করা হয়েছিল। কিন্ত কর্তৃপক্ষের তরফে তা মেনে নেওয়া হয়নি।’’ তবে চলতি বছরে তাঁরা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কেই পুজোর থিম হিসাবে তুলে ধরবেন বলে দাবি করেছেন প্রান্তিক।
প্রেসিডেন্সিতে টিএমসিপির সরস্বতী পুজো করতে চাওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় চন্দ। তিনি প্রেসিডেন্সিরই ছাত্র। সুপ্রিয় আগেই জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে এ সব মানায় না। তিনি চান না কেউ জেদ করে বসে থাকুক। ক্যাম্পাসের ভিতরে নয়, টিএমসিপির পুজো বাইরে হবে জানার পর তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহ্য মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুজো ইডেন হিন্দু হস্টেলে হচ্ছে। মূল ক্যাম্পাসে পুজো হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব রীতিকে মান্যতা দিয়েছে। সেটা জরুরি। ১৯২৮-এর বিতর্কের পরেও, সিটি কলেজে রীতি অপরিবর্তিত আছে। ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে তো যে কেউ পুজো করতেই পারে। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সকলের সরস্বতী পুজো ভাল কাটুক। সকলকে শুভেচ্ছা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy