Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কর্মীর অভাব প্রাণিসম্পদ দফতরে, ব্যাহত হচ্ছে কাজ

কর্মীর অভাব। তাই ডকে ওঠার জোগাড় বীরভূমের প্রাণিসম্পদ দফতরের উন্নয়নের কাজ! পরিস্থিতি এমনই জেলায় গো-সম্পদের উন্নয়নের কাজ যে রীতিমতো ব্যাহত হচ্ছে, বলে খোদ ওই দফতরই স্বীকার করে নিয়েছে। জেলায় ১৬৭টি পঞ্চায়েতে এক জন করে প্রাণিবিকাশ সহায়ক থাকার কথা হলেও, এখনও পর্যন্ত নব্বইয়েরও কম পঞ্চায়েতে ওই পদে লোক রয়েছেন।

অরুণ মুখোপাধ্যায়
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৭
Share: Save:

কর্মীর অভাব। তাই ডকে ওঠার জোগাড় বীরভূমের প্রাণিসম্পদ দফতরের উন্নয়নের কাজ!

পরিস্থিতি এমনই জেলায় গো-সম্পদের উন্নয়নের কাজ যে রীতিমতো ব্যাহত হচ্ছে, বলে খোদ ওই দফতরই স্বীকার করে নিয়েছে। জেলায় ১৬৭টি পঞ্চায়েতে এক জন করে প্রাণিবিকাশ সহায়ক থাকার কথা হলেও, এখনও পর্যন্ত নব্বইয়েরও কম পঞ্চায়েতে ওই পদে লোক রয়েছেন। দফতরেরই একাংশের দাবি, এতে জেলায় গবাদি পশুর প্রতিষেধক ও কৃত্রিম প্রজননে রীতিমতো ব্যাঘাত ঘটছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রাণিসম্পদের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবং প্রথম প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে স্বপন দেবনাথকে সেই জায়গায় বসিয়েছেন। তার পরেও কিন্তু সমস্যার সুরাহা হইনি বলে দাবি করেছেন ওই দফতরের জেলার বিভিন্ন আধিকারিকেরা। কারণ, ওই দফতরের বহু পদে এখন বহু কর্মীর পদ ফাঁকা রয়েছে। জেলার প্রাণি সম্পদ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর বাসুদেব মাইতি জানান, বোলপুর, নলহাটি ও রামপুরহাটে গত চার থেকে ছয় মাস ধরে কোন স্থায়ী চিকিৎসক নেই। দু’জন মাত্র চিকিৎসক পালা করে পরিষেবা দিচ্ছেন। জেলার প্রধান অফিস সিউড়িতে সাত জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর থাকার কথা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে মাত্র দু’জন মিলে সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। করণিকের পদও ফাঁকা রয়েছে। নলহাটি-১, বোলপুর ও ইলামবাজার ব্লকে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন অফিসার নেই দীর্ঘ দিন ধরে।

এ সব শুনে দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বামাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দাবি করেছেন, “৩৪ বছর বাম জমানায় রাজ্য জুড়েই ওই দফতর কার্যত পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল। আমরা ধীরে ধীরে সর্বত্রই উন্নয়নের চেষ্টা চালাছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই দফতর সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নেন।” তিনি বলেন, “রাজ্যে খুব শীঘ্রই ১২০ জন প্রাণিবিকাশ সহায়ক নিয়োগ করা হবে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের জন্য সর্বত্র হেলথ ক্যাম্প করা হয়েছে ও হচ্ছে। বীরভূমেই গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৫১৮টি হেলথ ক্যাম্প করা হয়েছে। রাজ্যে ৪০টি মোবাইল ভ্যান দেওয়া হয়েছে।” যদিও বীরভূমের প্রাণী দফতর বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর বাসুদেববাবু বলেছেন, “আমরা প্রয়োজনের তাগিদে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই দু’টি মোবাইল ভ্যান চালু করেছি। তা চালাতে অর্থের সংস্থান করতে হচ্ছে খুব কষ্ট করে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE