পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সদস্যকে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠল এক সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পুরুলিয়ার কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির। কাশীপুরের কালিদহ এলাকা থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির ওই আদিবাসী মহিলা সদস্য ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ওই মহিলা সদস্য সোমবার তাঁর নির্বাচনী এলাকার দু’টি দুঃস্থ পরিবারকে সাহায্যের জন্য পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন। সমিতির সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “আমি কাজে বেরোচ্ছিলাম। তখনই আমাকে ওই সদস্যা দু’টি পরিবারের জন্য ত্রিপলের কথা বলেন। ত্রাণ দফতর দেখভাল করেন যিনি, সেই করণিককে দু’টি ত্রিপল দেওয়ার কথা বলে আমি বেরিয়ে যাই।”
সমিতির আদিবাসী সদস্যার অভিযোগ, সভাপতি চলে যাওয়ার পরে ওই কর্মী তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ অফিসে বসিয়ে রাখেন। বিকেলের দিকে লোকজন কম থাকায় উনি তাঁকে ডেকে ত্রিপল দেওয়ার সময় নানা আপত্তিকর কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করেন। অভিযোগকারিণীর কথায়, “আমি সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যাই। গোটা ব্যাপারটা আমার কাছে চূড়ান্ত অসম্মানের মনে হয়েছে। তাই আমি সভাপতির কাছে ঘটনাটি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।’’ তাঁর ক্ষোভ, “পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেই কাজের এ রকম পরিবেশ থাকলে কী করে কাজ করব? আমাদের তো নানা কাজে সমিতিতে আসতেই হবে।”
কাশীপুরের বিডিও তপন ঘোষাল বলেন, “আমি সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনার কথা জেনেছি। বিষয়টি সভাপতিকে দেখতে বলেছি।” সভাপতি বলেন, “সোমবার সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখি ওই মহিলা সদস্য আমার জন্য বসে রয়েছেন। কেন জানতে চাওয়ায় তিনি কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার কথা জানান। আমার কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দেন।” মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির অন্য সদস্যরা ব্লক অফিসে উপস্থিত হয়ে সভাপতির কাছে সোমবারের ঘটনার প্রতিকার দাবি করেন। সৌমেনবাবু বলেন, “করণিকের বক্তব্য শুনতে তাঁকে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল। তিনি ওই মহিলা সদস্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।” অভিযোগকারিণীও জানান, ওই ব্যক্তি তাঁর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ওই করণিক বলেন, “আমি কিছু বলব না। এ বিষয়ে যা বলার বিডিও বলবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy