একশো দিন কাজের পরিমাপ নিয়ে নির্মাণ সহায়ককে হেনস্থা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির হাঁসন ২ পঞ্চায়েতে। ওই ঘটনার পরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বিডিও-র কাছে গিয়ে হাজিরা দেন পঞ্চায়েতের ১১ জন কর্মী। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ওই সব কর্মীরা পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। বাইরে বসে কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা।
নির্মাণ সহায়ক চৌধুরী গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ, “১০০ দিন প্রকল্পে ধোলডাঙা গ্রামে কাজের পরিমাপ করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের শ্রমিকরা যে মজুরি দাবি করছেন তা কাজের পরিমাপ অনুযায়ী হচ্ছে না। শ্রমিকরা তা না বুঝে সোমবার দুপুরে পঞ্চায়েতে ঢুকে প্রথমে আমার ঘরের টেবিল চেয়ার ভাঙচুর ও আমাকে হেনস্থা করেন। পরে কর্মীদের ঘরে ঢুকে সেই ঘরে ভাঙচুর চালান। কিছু কর্মী ও উপস্থিত অন্য গ্রামের কিছু বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আমি কোনওক্রমে বেরিয়ে আসতে পারি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।” হাঁসন ২ পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিন্ট্যান্ট অশোক দাস বলেন, “ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করে কর্মীরা ব্লক অফিসে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন এবং লিখিত ভাবে বিডিওকে জানানো হয়েছে।” পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের দীপেন মাল বলেন, “এই ঘটনার জন্য শ্রমিকদের কয়েকজন নির্মাণ সহায়কের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এর পরেও মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে রেখে পঞ্চায়েতের কর্মীদের ঠিক করেননি।” রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান এখনও পর্যন্ত আমাকে কিছু জানাননি। পঞ্চায়েতের কর্মীরা লিখিত ভাবে তাঁদের পঞ্চায়েত ভবনে কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন। আজ বুধবার পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও কর্মীদের ডাকা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।” রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “বিডিওকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে তাঁকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy