নারী পাচার, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ রোধে মানুষকে সচেতন করতে এ বার একটি তথ্যচিত্র নির্মাণে হাত দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবারই শেষ হল তার শ্যুটিং। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “নিম্নবিত্ত পরিবারের নারী-সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, মেয়েদের উপর নানা নির্যাতন ও পাচার রোধে আইনের সঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে এই নব-উদ্যোগ। জেলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন অল্প শিক্ষিত ও নিম্নবিত্ত পরিবারে মেয়েরা। কার্যত এসব নিয়ে সচেতনতা বীরভূম জেলা প্রশাসন এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তথ্যচিত্রের স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে জেলার মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের গনেশপুর। মহম্মদবাজার থেকে সাঁইথিয়া আসয়ার পথে প্যাটেলনগর ব্লক অফিসের কাছাকাছি এই গ্রামেই এ দিন শ্যুটিংয়ের কাজ শেষ হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গ্রামের আনাচে কানাচে শুরু হয়েছিল জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর মৌসুমী পাত্রর লেখা ‘আলোয় ফেরা’ তথ্যচিত্রের শ্যুটিং। অভিনয় করছেন, এলাকারই ৬ জন মহিলা ও ২২ জন পুরুষ।
তথ্যচিত্রের কাহিনি যে ভাবে এগিয়েছে, তাতে নিম্নবিত্ত পরিবারের কিশোরী মিলি আর তার বন্ধু আয়েসার সঙ্গে স্কুল যাতায়াতের পথে আলাপ হয় রাহুলের। দিন কয়েকের মাথায় রাহুলের প্রেমে পড়ে যায় মিলি। রাহুল একদিন জানায় তারা চাইলে তাদেরকে মুম্বই নিয়ে গিয়ে সিনেমার নায়িকা করে দেবে। প্রস্তাবে রাজীও হয়ে যায় মিলি। এরপর ছবি এগোয় পাচারের গল্পের ছকে।
শুধু ছবি করেই অবশ্য দায় সারতে চায় না বীরভূম প্রশাসন। আইনের প্রয়োগের সঙ্গে তাই তথ্যচিত্রের মতোই একই গল্প অবলম্বনে বিভিন্ন যায়গায় নাটক করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রশাসন। চলতি মাসের ২৯ তারিখ রামপুরহাটের হাইস্কুলে সবলা মেলায় মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘আলোয় ফেরা’।
তথ্যচিত্রে বিক্রি হওয়ার আগেই মিলিকে উদ্ধার দেখানো হয়েছে। সে ফিরে আসে পরিবারের কাছে। কিন্তু ভিন্ রাজ্যে পাচার হয়ে গিয়ে, বাস্তবের মিলিরা কত জন উদ্ধার হয়, ফিরে আসে পরিবারের কাছে? সে প্রশ্ন রয়েই যায় প্রশাসনের এই সাধু-উদ্যোগের পাশে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy