নিতুড়িয়ার পারবেলিয়ায়। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।
দামোদর নদে লিজপ্রাপ্ত বালির ঘাট থেকে মেশিন ব্যবহার করে বালি তুলেছেন এক বালি ব্যবসায়ী। আর তার ফলে কাজ হারাচ্ছেন স্থানীয় শ্রমিক। এই ক্ষোভে রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি নিতুড়িয়া থানা এলাকার পারবেলিয়ার। অবরোধকারীদের ক্ষোভ, যন্ত্রের পরিবর্তে তাঁদের দিয়ে বালি তোলার কাজ করানোর আবেদন প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার সকাল নটা থেকে ঘণ্টা তিনেক পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে দামোদর নদের উপরে সুভাষ সেতুর সামনে রাস্তা অবরোধ করেন নামো শালতোড় গ্রামের শ্রমিকেরা। পরে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।.
দামোদর নদে বালি তোলার লিজ রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী মদন সিংহের। অভিযোগ, তিনি ঘাট থেকে বালি তোলার কাজে মেশিন ব্যবহার করেছেন। এ দিন অবরোধে সামিল হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে উষা বাউরি, যশোদা বাউরি, ঝুমা বাউরি, লক্ষ্মী বাউরিরা বলেন, “আমাদের গ্রামের বহু শ্রমিক দীর্ঘদিন ধরে নদীর ঘাট থেকে বালি তোলার কাজ করে আসছেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী শ্রমিকদের বদলে মেশিন দিয়ে বালি তুলছেন। ফলে আমরা কাজ পাচ্ছি না। আগে এই বিষয়ে প্রশাসনে অভিযোগ জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এ দিন পথ অবরোধ করেছি।” অবরোধ শুরু হওয়ার পরে নিতুড়িয়া থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু, ওই বালি ব্যবসায়ী ও কিছু লোকজন নিজেরাই অবরোধ সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে নিতুড়িয়ায় যান রঘুনাথপুরের এসডিপিও পিনাকী দত্ত ও মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অজয় সেনগুপ্ত। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। অজয়বাবু বলেন, “আপাতত ওই ব্যাবসায়ীকে ঘাট থেকে বালি তুলতে বারণ করা হয়েছে। এ দিনই সেচ দফতরের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলেছি আমরা। সেচ দফতর সব পক্ষকে নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসবে।” অন্য দিকে, মদনবাবু বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বালি তোলার চাপ থাকাতেই বাধ্য হয়ে মেশিন ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া। যে শ্রমিকেরা কাজের দাবি করছেন, তাঁরা মাঝেমধ্যেই অন্য কাজ পেলে সেখানে চলে যান। তখন শ্রমিকের অভাবে সমস্যায় পড়ি আমরা। তাই যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy