দু’দিন আগেই তিনি শহরে এসে দলের একটি সরকারি কর্মী সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। একই দিনে ছুটেছিলেন এলাকারই একটি স্বাস্থ্য শিবিরেও। অথচ একই শহরে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাতেও গরহাজির রইলেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়!
শুধু শতাব্দীই নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার ধার দিয়েও পা মাড়াতে দেখা গেল না জেলার আর এক সাংসদ অনুপম হাজরাকেও। ছিলেন না সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষও। দলের ‘গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে’র জেরে প্রকাশ্যে নানা মন্তব্য করে শতাব্দী অতীতে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন। আর পরবর্তী দু’জন অতি সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বারবার। এমনকী, দেখা যায়নি প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীকেও। জেলার এই চার গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধির দলনেত্রীর প্রশাসনিক সভায় এমন অনুপস্থিতি নিয়ে তাই শাসক দলেরই অন্দরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
অথচ মঙ্গলবার রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠের সভায় মঞ্চের সামনের সারিতে একপ্রান্তে ছিলেন এসআরডিএ চেয়্যারম্যান তথা দলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, অন্যপ্রান্তে মুর্শিদাবাদের চাঁদ মহম্মদ। মাঝে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। এমনকী, দেখা গিয়েছে লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া হাঁসনের কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মালকেও। কিন্তু, জেলার দুই সাংসদ এবং বিধায়কের অনুপস্থিতি তাই দলের নিচুতলার কর্মীদের চোখে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আরও তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় ওই চার জনের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ দূর, মমতা তাঁদের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি।