শিল্পাঞ্চলের তকমা মিলেছে। ব্যস, ওইটুকুই প্রাপ্তি বড়জোড়ার। শিল্প-নগরী দুর্গাপুরের কাছে থাকা এই এলাকায় উন্নয়নের চাকাটা কিন্তু বিশেষ গড়ায়নি। বাঁকুড়া ও দুর্গাপুরের মাঝামাঝি থাকা এই অঞ্চলে ‘নেই’-এর তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। নাগরিক পরিষেবা নিয়ে যেমন ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের, তেমনই শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিবহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত প্রচুর সমস্যা রয়েছে এলাকায়। সেই সব সমস্যার মধ্যে প্রথমেই আসে রাস্তাঘাটের কথা।
যানজটে নাকাল: বড়জোড়া ব্লক সদরের ব্যস্ততম চৌমাথা মোড় সব সময়েই যানজট পূর্ণ। সরু, ঘিঞ্জি রাস্তা, দিনভর অজস্র কল-কারখানার গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। পাশাপাশি দুর্গাপুরগামী বাসগুলিও বড়জোড়ার উপর দিয়ে যায়। পরিকাঠামোর তুলনায় বেশি যানবাহনের চাপে দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলিতে যানজটে স্তব্ধ হয়ে পড়ে বড়জোড়ার চৌমাথার গতি। নিত্য নাকাল যাত্রীরা। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তা চওড়া করা ও চৌমাথায় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার। সাদা কাগজে লেখা সেই সব দাবিপত্র স্মারকলিপি হিসেবে একাধিক বার জমা পড়েছে প্রশাসনিক দফতরে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। যানজটের সমস্যা আগেও যেমন ছিল, এখনও তেমন রয়েছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, চৌমাথার যানজটের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও পৌঁছতেই পারা যায় নায়। শুধু বাসযাত্রী নন, অসুবিধায় পড়েন পথচারীরাও।
বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অমৃত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “যানজটের কারণে রাস্তা পার হতেও সময় লাগে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো নিজের মতো এগোতে থাকে। নিয়মকানুনের কেউ পরোয়া করে না।” ট্রাফিক সিগন্যাল থাকলে বেপরোয়া গাড়িগুলি কিছুটা হলেও নিয়ম মেনে চলত বলে মনে করেন এলাকার বাসিন্দারা। বড়জোড়ার বিধায়ক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী এই রাস্তাকে শিল্পের করিডর বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে।