বেআইনি পোস্ত চাষ নষ্ট হল। কিন্তু পোস্ত ফল থেকে আঠা সংগ্রহ আটকাতে পুরোপুরি সফল হল না প্রাশাসন। এ জন্য অবশ্য আড়ালে সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
খয়রাশোলের পর শুক্রবার দুবরাজপুরে বেআইনি পোস্ত চাষ নষ্ট করল প্রশাসন। এ দিন দুবরাজপুরের কান্তোর ও বোধগ্রামে বেশ কিছু জমির পোস্ত নষ্ট করা হয়। কিন্তু যে উদ্দ্যেশে পোস্ত নষ্টের অভিযান চলল সেটা পূরণ হয়নি। কারণ, তার আগেই পোস্ত ফলের গায়ে ব্লেড দিয়ে চিরে আঠা সংগ্রেহের কাজ অনেকটাই সেরে ফেলেছেন এলাকার পোস্ত চাষিরা। যেটা অশনি সঙ্কেত বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
ঘটনা হল গত, ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জেলায় অবৈধ ভাবে পোস্ত চাষের রমরমা ছিল। শুধু তাই নয় পোস্ত আঠা সংগ্রহ করে তা মাদক কারবারিদের হাতে তুলে দিয়ে মোটা টাকা রোজগার করার কারবারও ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বীরভূমে অবৈধ পোস্ত চাষ ঠেকাতে তত্পর হয় প্রশাসন। আবগারি দফতর, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মিলিত অভিযান, নিয়মিত প্রচার ও বেআইনি ভাবে যে সব চাষি বা জমির মালিক তা করছিলেন তাঁদেরকে ধরপাকড় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করার জন্য ২০১২-১৩ সালে পোস্ত চাষ একেবারেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছিল। বীরভূম জেলাকে মডেল করে অন্য জেলায় প্রচার করার কথাও ঘোষণা হয়েছিল এনসিবি-র তরফে।