বিতর্কে থাকা রাইপুরের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের সুপারকে অবিলম্বে বদলির দাবিতে ফের সরব হল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। এই দাবিতে শুক্রবার বারিকুল থানার চামটাবাদ মোড়ে, বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এই আদিবাসী সংগঠনের সদস্যেরা।
এ দিন সকাল ৭টা থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে ব্যস্ত এই রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। বহু গাড়ি ঘুরপথে যাতায়াত করে। অবরোধস্থলে সকাল থেকেই বারিকুল থানার ওসি সলিল পাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ছিলেন। ওসি অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেও অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হন। পরে খাতড়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ তনবীর হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরে অবরোধ ওঠে।
গত ২২ অগস্ট ওই কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের নানা অব্যবস্থা নিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আশা মণ্ডল হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। ছাত্রী আবাসের মধ্যে তাঁকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে হস্টেলের সুপার তাপসী দে-র বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কর্মাধ্যক্ষ। পরে ওই কর্মাধ্যক্ষ এবং কলেজের দুই ছাত্রছাত্রী-সহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হস্টেল সুপার। খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে হস্টেল সুপার জামিন পান। এরপরে রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস এবং হস্টেল সুপার একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এখানেই শেষ হয়নি। এরপর ছাত্রীদের তরফে হস্টেলের এক ছাত্রী খাতড়া আদালতে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শান্তিনাথ মণ্ডল, রাইপুর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি নেতা চিরঞ্জিত মাহাতো, রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস-সহ পাঁচজনের নামে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন।