পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়ে সবাইকে অন্য গল্প শুনিয়েছিলেন স্ত্রী। জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে স্বামীর দেহ উদ্ধারের পরে ফের অন্য গল্প ফাঁদেন। কিন্তু পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত সেই স্ত্রী ধরা পড়লেন। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা হয়েছে আরও দু’জনকে। তাঁদের মধ্যে একজন ওই মহিলার প্রেমিক বলে পুলিশের দাবি।
সাঁতুড়ি থানার মানপুর গ্রামের অদূরে বুধবার একটি পুকুরের পাশের জঙ্গল থেকে দিলীপ চৌধুরী-র (৩৫) দেহ উদ্ধার হয়েছিল। শুক্রবার পুলিশ তাঁর স্ত্রী স্ত্রী গীতা চৌধুরী এবং সুশীল দাস ও মঙ্গল মালকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, সুশীলের সঙ্গে গীতার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। দিলীপ বাধা হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রঘুনাথপুরের এসডিপিও পিনাকী দত্ত বলেন, “বিবাহ বর্হিভূত অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই খুনের ঘটনা। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত গামছা ও বাঁশ উদ্ধার হয়েছে।” শনিবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সুশীল ও মঙ্গলকে দু’দিন পুলিশ হেফাজত এবং গীতাদেবীকে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
১০ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন খেজুর রসের ব্যবসায়ী দিলীপবাবু। দেহ উদ্ধারের পরে দিলীপবাবুর ভাই সাঁতুড়ি থানার একতিরা গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ চৌধুরী পুলিশের কাছে দাদাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশের গীতাদেবীর উপরে সন্দেহ হয়। পুলিশের ব্যাখ্যা, ১০ এপ্রিল দিলীপবাবু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মানপুরের বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি বিহারের নোয়াদাতে চলে গিয়েছিলেন গীতাদেবী। দেহ উদ্ধারের আগের দিন মঙ্গলবার প্রদীপবাবু মানপুর গ্রামে দাদার বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে দাদা বা বৌদি কেউ নেই দেখে, তিনি ফোনে গীতাদেবীর সঙ্গে যোগাযাগ করেন। তখন গীতাদেবী তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছেন। তাই তিনি বাপের বাড়িতে দিয়েছেন। পুলিশের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন প্রদীপবাবু।