বড় জা-এর সঙ্গে নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার আনতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ছোট জা। ২৪ ঘণ্টা পরে বড় জা-এর ঘরের উঠোনের পাতি লেবু গাছের তলা থেকেই মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল নিখোঁজ মা-মেয়ের দেহ।
বাঁকুড়ার জয়পুর থানার গেলিয়া অঞ্চলের মাধবপুর গ্রামের ঘটনা প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ভারী কোনও কিছু দিয়ে মাথায় মেরে খুন করা হয় মমতা চট্টোপাধ্যায়কে (২৩)। তাঁর দেড় বছরের অনন্যাকে মারা হয় শ্বাসরোধ করে। মেয়েকে মায়ের কাপড়ের সঙ্গে পেটে বেঁধে লেবু গাছের তলায় প্রায় পাঁচ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে নীচের দিকে মুখ করে শুইয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়। মমতার বড় জা অনিতা ও ভাসুর প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “আটক দম্পতি পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা কবুল করেছেন।” মমতাকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। তিনি বলেন, “ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালানো হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে মাধবপুরের বাসিন্দা, গ্রামের হাতুড়ে প্রদীপের সঙ্গে তাঁর কৃষিজীবী ছোট ভাই সন্দীপের বিবাদ দীর্ঘদিনের। দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে একেবারেই বনিবনা ছিল না। তাঁদের বাবা অলোক চট্টোপাধ্যায় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। দুই ভাই আলাদা থাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ছোট ছেলে সন্দীপের সঙ্গেই থাকতেন অলোকবাবু। মাস ছয়েক আগে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে স্ত্রী লাবণ্যদেবী অলোকবাবুর পেনশন পান। সেই পেনশনের ভাগ নিয়েও দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ বাধে।