পুরনো সর্ষে বীজ নষ্ট করা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের উপ-প্রধানের কাছে হেনস্থা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। উপ-প্রধানের পাল্টা দাবি, পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি। শুক্রবার পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের সোনাথলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পুরনো সর্ষে বীজ নষ্ট না করে সেই বীজের অনেকটাই অন্যত্র সরানো হয়েছে, এই অভিযোগে তাদের দলীয় কর্মীরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন। বিজেপি-র সোনাথলি অঞ্চল সভাপতি রাজীব মণ্ডল বলেন, “আমরা দিন কয়েক আগে খবর পাই, পঞ্চায়েতে কিছুটা পরিমাণ সর্ষে বীজ ছিল। তার কিছুটা অংশ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর কিছু সঙ্গী মিলে অন্যত্র সরিয়েছেন। এ দিন আমরা প্রধানের কাছে সেই বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য গিয়েছিলাম। প্রধানের কাছে আমাদের আর্জি ছিল, ওই বীজগুলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের ঠিক কী নির্দেশ রয়েছে তা জানানো হোক এবং সর্ষে বীজ নিয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে হবে।”
এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পঞ্চায়েত অফিসে যান। তৃণমূল ও বিজেপি, যুযুধান দু’দলের কর্মী-সমর্থকেদের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত চত্বরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজীববাবুর অভিযোগ, অনিরুদ্ধবাবু তাঁদের গালিগালাজ করে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেন। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে উপ-প্রধান পাল্টা দাবি করেছেন, বিজেপি কর্মীরাই পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করেছেন, মাস্টার-রোল ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকেও অপমান করেছেন। বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। লোকজনকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেয় বিজেপি বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে।