দুই-চিত্র: (বাঁ দিক থেকে) দুর্ঘটনার পরে। হেলমেট না থাকায় মোটরবাইক আটকাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
ঘণ্টাখানেক আগেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হেলমেটবিহীন মোটরবাইক চালকের। কিন্তু সমস্তটাই যেন শহরের গা-সওয়া। সচেতন হওয়ার বালাই নেই। ফাঁকা মাথায় মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে পুলিশের কাছে অনেকেই শোনালেন তাড়াহুড়োর অজুহাত।
পুলিশ অবশ্য এ বার আর চকোলেট-গোলাপে যত্নআত্তি করেনি। জরিমানা তো হয়েছেই। ঘণ্টা দুই-আড়াই বসিয়ে রেখে বুঝিয়েছে, এ বার থেকে হেলমেট না পরলে আরও দেরি হবে।
রবিবার হেলমেট চেকিং অভিযানের কর্মসূচি ছিল পুরুলিয়া মফস্সল থানার পুলিশের। সেটাই হয়েছে। তবে তার ঘণ্টাখানেক আগে, সকাল ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কের শিমূলিয়া এলাকায়। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে শহরের ডাক্তারডাঙা এলাকার বাসিন্দা আসরফ খানের (৩৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, আসরফ একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের মুখোমুখি পড়ে যান। বাসটি শহর থেকে আড়শার দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরে তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।
তার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ নেমেছিল অভিযানে। পুরুলিয়া শহরে ঢোকা বা শহর থেকে বেরনোর মূল চারটি রাস্তাই মফস্সল থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। এ দিন চারটি দলে ভাগ হয়ে পুলিশকর্মীরা পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০ এ) জাতীয় সড়কের সুরুলিয়া মোড়, পুরুলিয়া-জামশেদপুর (৩২ নম্বর) জাতীয় সড়কের শিমূলিয়া, পুরুলিয়া-বোকারো (৩২ নম্বর) জাতীয় সড়কের সৈনিক স্কুল মোড় এবং পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের কিসান মান্ডির কাছে অভিযান শুরু করেন।
চালক বা সঙ্গী— কারও মাথা ফাঁকা দেখলেই আঠকানো হয়। অনেকেই তাড়াহুড়োয় হেলমেট পরা হয়নি বলে অজুহাত দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ওজর আপত্তি শোনা হয়নি। জরিমানা তো হয়েছেই, আরও বেশ কিছুক্ষণ আটকেও রাখা হয়েছে পথে। তবে যাঁরা ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন শুধু জরিমানা দিয়েই ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
মোট কতজনের জরিমানা হল দিনের শেষে?
পুলিশ জানিয়েছে, সংখ্যাটা ৮৮।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy