প্রতীকী চিত্র।
কথা রইল মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতাগামী একজোড়া সরকারি এসি বাস পেল জেলা।
দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থা দুটি রুটে কলকাতাগামী বাসগুলি চালাবে। একটি বাস চলবে ভায়া বোলপুর হয়ে। অন্যটি চলবে দুবরাজপুর ইলামবাজার হয়ে। রবিবার থেকে দুবরাজপুর ইলামবাজার হয়ে কলকাতাগামী বাসটি চালু হয়েছে। বোলপুর হয়ে বাসটি দু’ তিন দিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত গত সোমবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকেই জেলা সদর থেকে কলকাতাগামী এসি বাস চালানোর দাবি ওঠে। কার কোন এলাকায় কী চাই, রাস্তা, স্কুল, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক দাবি উঠে আসে সেদিনের বৈঠকে আমন্ত্রিতদের কাছ থেকে। তখনই সিউড়ির ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য বলেন, ‘‘দিদি সিউড়িতে রেল পরিষেবা খুব খারাপ। রামপুরহাট বা বোলপুর শহরের মতো কলকাতা যাওয়ার ট্রেন যোগাযোগ নেই। অনেক দূরপাল্লার ট্রেন সিউড়িতে থামে না। আগে চালু থাকলেও জেলা সদর থেকে সরকারি এসি বাস চলাচাল বন্ধ। যদি ফের সেই পরিষেবা চালু করে দেন, তাহলে উপকার হয়।’’
সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পরিবহণ সচিব অলাপন বন্দ্যোপাধ্যাকে বিষয়টি দেখতে বলেন। ঠিক হয়, সিউড়ি এবং বোলপুর দুটি শহর থেকেই কলকাতাগামী এসি বাস চালাবে দক্ষিণবঙ্গ। এবং সেটা ১৫ দিনের মধ্যেই। এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে যেহেতু বোলপুরে ডিপে নেই তাই দুটি বাসই সিউড়ি থেকে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। এতে আখেরে লাভ জেলা সদরেরই। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার সিউড়ি ডিপো ইনচার্জ তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বোলপুর হয়ে যে বাসটি কলকাতা যাবে সেটি সিউড়ি থেকে ছাড়বে ভোর ৫টা ১৫মিনিটে। বোলপুরে পৌঁছে সেটি আবার সাড়ে ছ’টায় কলকাতার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে। কলকাতা থেকে ফেরার সময় বেলা ২টো ৩০ মিনিট। আর দুবররাজপুর , ইলামবাজার পানাগড় হয়ে কলকাতার বাসটির সিউড়ি ছাড়ার সময় সকাল ৭টা।’’ তিনি জানান, ফেরার সময় কলকাতা ছাড়বে বিকাল ৩টে ৩০ মিনিটে। ভাড়া ৩২০ টাকা। দুটি বাসই কলকাতা পৌছাতে কমবেশি সাড়ে চার ঘন্টা সময় নেবে।
এসি বাস পেলে খুশি হলেও দুটি বিষয়ে আপত্তি রয়েছে সিউড়িবাসীর।
এক ভাড়া, দুই সময় সারণী। কারণ, সরকারি বাসে এমনিতে কলকাতা যাওয়ার ভাড়া ১৫০ টাকা থাকলেও, এসির জন্য ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অনেকেই মনে করছেন ভাড়া ৩০০ টাকার মধ্যে হলেই ভাল হত। অন্যদিকে ব্যবসায়ী সমিতির আপত্তি কলকাতা থেকে বাসটি ছাড়ার সময় নিয়ে।
সমিতির পক্ষে কিষান পাল, মৃণাল দাস, নজরুল ইসলাম, সঞ্জয় অধিকারীরা বলছেন, ‘‘দাবিটা জানানো হয়েছিল যাতে কলকাতায় কাজ সেরে আরামে বাড়ি ফেরা যায়। কিন্তু কলকাতা থেকে সাড়ে তিনটেয় বাস ছাড়লে সকলের পক্ষে বাস ধরা সম্ভবই নয়। সেই বাড়ি ফিরতে দেরি। ঘন্টা দেড় দুই পরে কলকাতা থেকে বাস ছাড়লেই সুবিধা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy