Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
চলছে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া উইক’

নেমন্তন্ন পেয়ে নয়া ডাকঘরে পড়ুয়ারা

ডাকঘরে কী ভাবে চলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, টাকাপয়সা লেনদেন? কী ভাবে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি বা মানি অর্ডার প্রেরক থেকে প্রাপকের কাছে পৌঁছে যায়, কী ভাবেই বা ডাকঘরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা উপভোক্তার কাছে পৌঁছয়। শুক্রবার এমন নানা খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর পেল সিউড়ির বীরভূম জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। সৌজন্যে সিউড়িতে অবস্থিত জেলা মুখ্য ডাকঘর।

হাতেকলমে। শুক্রবার সিউড়ি মুখ্য ডাকঘরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

হাতেকলমে। শুক্রবার সিউড়ি মুখ্য ডাকঘরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০২:০৪
Share: Save:

ডাকঘরে কী ভাবে চলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, টাকাপয়সা লেনদেন? কী ভাবে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি বা মানি অর্ডার প্রেরক থেকে প্রাপকের কাছে পৌঁছে যায়, কী ভাবেই বা ডাকঘরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা উপভোক্তার কাছে পৌঁছয়। শুক্রবার এমন নানা খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর পেল সিউড়ির বীরভূম জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। সৌজন্যে সিউড়িতে অবস্থিত জেলা মুখ্য ডাকঘর।

দিনের ব্যস্ত সময়ে সাদা জামা, কালো প্যান্ট পরিহিত এত পড়ুয়ারাকে ডাকঘরে উপস্থিত হতে দেখে অবাকই হয়েছিলেন অন্যান্য গ্রহকেরা। পড়ুয়ারা শুধু ডাকঘরে এসেই থেমে থাকেনি, ডাকঘরের দশটি কাউন্টারে কোথায়, কী কাজ হচ্ছে, কী ভাবেই বা একটি রেজিস্ট্রি চিঠি, মানি অর্ডারকে ‘ট্র্যাক’ করা যায়, কোন সফট্ওয়্যারে ‘ব্যাঙ্কিং সিস্টেম’ চালু রয়েছে— সব জেনেছে তারা। পড়ুয়াদের নানা প্রশ্নের উত্তর সযত্নে বুঝিয়ে দিলেন ডাকঘরের কর্মী-আধিকারিকেরাও। দুপুর ১টা থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক ডাকঘরে থেকে তার পর শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলে ফিরল পড়ুয়ারা। নতুন অভিজ্ঞতায় খুশি সকলেই।

কেন এই উদ্যোগ?

ডাকঘর কর্তপক্ষ জানিয়েছেন, চলছে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া উইক’। তারই অঙ্গ হিসাবে তৃতীয় দিন একটি ‘ডিজিটাইজড্’ বা অত্যাধুনিক ডাকঘরের কর্মকাণ্ড কী ভাবে হয়, দেশজুড়ে বিভিন্ন ডাকঘর ঘুরিয়ে ছাত্রসমাজকে সেটা দোখানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ছিল। সিউড়ির মুখ্য ডাকঘর ওই তালিকায় পড়ে।

পড়ুয়াদের মধ্যে শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিকেত মণ্ডলেরা এ দিন নিজেদের ডাকঘর ঘোরার অভিজ্ঞতার কথা বলছিল। তাদের কথায়, ‘‘বইয়ের পাতায় অসংখ্য বার ডাকঘরের কথা পড়েছি। তবে, নিজে ডাকঘরে আসিনি। সেই সুযোগ পেলাম। শুধু আসাই নয়, ডাকঘরের বিভিন্ন কাজ এবং পদ্ধতি জানলাম। দারুণ লাগল। স্কুলের টিফিনের সময়টা একেবারে ভিন্ন স্বাদে কাটল।’’

সিউড়ি মুখ্য ডাকঘরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট পরিমল মিত্র জানান, রবীন্দ্রনাথের ডাকঘরের সঙ্গে বর্তমানে অত্যাধুনিক কম্পিউটার পরিচালিত এই ডাকঘরের আসমান জমিন ফারাক। ডাকঘরের আজকের অত্যাধুনিক চেহারা ছাত্রসমাজের সামনে তুলে ধরতেই এমন উদ্যোগ। কারণ ছাত্র সমাজকে জানাতে পারলে, জানবে বাকি সমাজও। পরিমলবাবু আরও বলেন, ‘‘শুধু সিউড়ি নয়, রামপুরহাট ডাকঘরেও একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ওখানেও একটি স্কুলের পড়ুয়ারা এসেছিল।’’

জেলা স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ হালদারের সঙ্গে ডাকঘরে এসেছিল পড়ুয়ারা। তিনি বলছেন, ‘‘ডাকঘরে ই-ব্যাঙ্কিং সিস্টেম এবং অন্যান্য আধুনিক কার্মকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রদের অবহিত করার জন্যই ডাকঘর নিমন্ত্রণ করেছিল। ছাত্রদের ভালই লেগেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE