চলছে বৈঠক। বিশ্বভারতীতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা নিয়ে এলাকার বণিক সঙ্ঘ, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং বিশ্বভারতীর আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। মঙ্গলবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের আর্জির শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, “বিশ্বভারতীর তিন দিনের মেলা চার দিন করার জন্য এবং আরও ৪৮ ঘণ্টা স্টল তুলে নেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত ভাঙা মেলা চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তাদের আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখ দিন ধার্য করেছে আদালত।”
পৌষমেলায় দূষণের অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। সুভাষবাবুর আর্জির প্রেক্ষিতে, পরিবেশের যাবতীয় বিধি নিষেধ মেনে এবং মহর্ষির ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী পৌষ উৎসব করার নির্দেশ দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। তিন দিনের মেলা করা এবং শেষ করার জন্য এক দিন নিয়ে মোট চার দিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ দিন এলাকার বণিক সংঘ বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ বলেন, ‘‘পৌষ উৎসবের ভাঙা মেলা ডিসেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত চালানোর জন্য জাতীয় পরিবেশ আদালতের আমরা দ্বারস্থ হয়েছি।’’
ওই সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিংহ এ দিন বলেন, “পাঁচ দশকের কিছু বেশি দিন ধরে ওই মেলায় স্টল দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসাদার হস্ত এবং কুটির শিল্প নিয়ে আসেন। পরিবেশের বিধি মেনে, তাঁদের রুজি রুটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য এই মাসের শেষ পর্যন্ত ভাঙা মেলা চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছি।’’ বিশ্বভারতীও এ দিন প্রথা মেনে সরকারি ভাবে চার দিনের মেলা অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং স্টল তুলে নেওয়ার জন্য আরও দু’ দিন অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে মেলার যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ফেলার জন্য আর্জি জানিয়েছে।
আদালত নির্ধারিত দিনের মধ্যে মেলা করানো এবং বহু মানুষের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ডাকবাংলো মাঠে স্টল বসানোর জন্য আদালতের কাছে এ দিন আর্জি জানিয়েছেন সুভাষবাবু। ঘটনা হল, বোলপুর এমনিতেই সারা বছর যানজটে থমকে থাকে। ডাকবাংলো মাঠে মেলা হলে, শহরের ভিতর কতটা যানজট হবে সেটা ভেবেই আঁতকে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ডাকবাংলো মাঠ সংলগ্ন স্কুলবাগান এলাকায় বাড়ি, স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সারা বছর যানজট থাকে শান্তিনিকেতনের রাস্তায়। পৌষমেলা এলে পথে দু’মিনিট অন্তর থমকে যেতে হয়। তার উপরে শহরের ভিতরে ডাকবাংলো মাঠে মেলার স্টল হলে আর কিছু বাকি থাকবে না। চিত্রা মোড় থেকে লজ মোড় থমকে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy