Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সংস্কারে বরাদ্দ, খুশি খয়রাশোল

একটি আস্ত ব্লক। অথচ খয়রাশোল ব্লকে একটিও সরকারি বাস চলে না। সরাসরি কলকাতা যাওয়া দূর অস্ত। খয়রাশোল ব্লক অফিস ও অন্তত ৮টি পঞ্চায়েত অঞ্চল থেকে বিকেলের পর অন্য কোথাও যাওয়ার বাস নেই। সন্ধ্যা ছ’টার পর ফেরারও সুবিধা নেই।

নতুন ভাবে তৈরি হবে খয়রাশোল-পাঁচড়া রাস্তা।— নিজস্ব চিত্র।

নতুন ভাবে তৈরি হবে খয়রাশোল-পাঁচড়া রাস্তা।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খয়রাশোল শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০২:৪৯
Share: Save:

একটি আস্ত ব্লক। অথচ খয়রাশোল ব্লকে একটিও সরকারি বাস চলে না। সরাসরি কলকাতা যাওয়া দূর অস্ত। খয়রাশোল ব্লক অফিস ও অন্তত ৮টি পঞ্চায়েত অঞ্চল থেকে বিকেলের পর অন্য কোথাও যাওয়ার বাস নেই। সন্ধ্যা ছ’টার পর ফেরারও সুবিধা নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থাই খয়রাশোল ব্লকের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর প্রধান কারণ রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা। অবশেষে সেই সড়ক যন্ত্রনাই ঘুচতে চলেছে খয়রাশোলবাসীর। ব্লকে ঢোকার মূল দু’টি রাস্তা যেগুলি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল হয়েছিল, সেগুলি নতুন করে তৈরি ও সম্প্রসারিত করার জন্য ইতিমধ্যেই টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দরপত্র ডেকে কাজের বরাতও দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে পূর্ত দফতর (সড়ক)।

প্রথম রাস্তাটি হল, রনিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাঁচাড়া মোড় থেকে খয়রাশোল পর্যন্ত রাস্তা। দৈর্ঘ্য ৮.৬ কিলোমিটার। ওই রাস্তাটির জন্য বরাদ্দ প্রায় সাড়ে আট কোটি। দ্বিতীয় রাস্তাটি হল দুবরাজপুর থেকে কুখুটিয়া হয়ে সারিবাগান পর্যন্ত ৫.৬ কিমি। এই রাস্তাটি আগের রাস্তাটির সঙ্গে মিলিত হচ্ছে। বরাদ্দ সোয়া ৫ কোটি। দু’টি রাস্তাই চওড়া হবে ৫.৫ মিটার। আগামী ৩০০ দিনের মধ্যেই যে কাজ শেষ করার কথা। পূর্ত সড়কের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র আসফার আলি জানান, ‘প্রস্তুতি চলছে কাজ শুরু হল বলে। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর, বিডিও তারকনাথ চন্দ্র বলেন, ‘‘দু’টি রাস্তা হয়ে গেলে অবশ্যই যোগাযোগের দিক থেকে খয়রাশোল ব্লক অনেক ভাল অবস্থায় পৌঁছবে সন্দেহ নেই।’’ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ার কারণ হিসেবে খয়রাশোলে ঢোকার বেহাল রাস্তাকেই দায়ী করছেন অধিকাংশ মানুষ। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে খয়রাশোলে আসার জন্য মূলত দু’টি রাস্তা রয়েছে। এক: দুবরাজপুর থেকে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ জাতীয় সড়ক ছেড়ে কুখুটিয়া হয়ে, দুই: জাতীয় সড়ক ছেড়ে খয়ারশোলের পাঁচড়া মোড় দিয়ে (আসানসোল থাকে খয়রাশোলে এলেও পাঁচড়া মোড় হয়েই ঢুকতে হয়)। দু’টি রাস্তাই অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সিপিএমের সমীর রায় বলছেন, ‘‘সত্যি রাস্তা দু’টির খুবই শোচনীয় অবস্থা ছিল। আমাদের সময়ে চেষ্টা করেও পরিনি। বহুকাল ওই রাস্তা যাথাযথ সংস্কার হয়নি। চওড়াও হয়নি। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই আমাদের সময়ে চেষ্টা করেও পারিনি। সেই রাস্তা যদি তৈরি হয় তা হলে খুব সুবিধা হবে সকলের সন্দেহ নেই।’’ একই কথা বলছেন খয়রাশোলবাসীও। আর বাসমালিকেরা বলছেন, ‘‘রাস্তা খারাপই নতুন বাস না চালানোর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। রাস্তার অবস্থা বদল হলে নতুন বাস চলানোর কথা ভাবা যেতেই পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE