যান্ত্রিক: কঙ্কালীতলার কুণ্ডে নামবে এই ‘ট্র্যাশ স্কিমার্স’ যন্ত্র। নিজস্ব চিত্র
বীরভূমের কঙ্কালীতলায় পুজো দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সৌন্দর্যায়ন হবে ওই সতীপীঠে। কলকাতায় ফিরেই তার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বীরভূমের জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন মন্ত্রী। তারকেশ্বর, কঙ্কালীতলা-সহ একাধিক তীর্থস্থানের কুণ্ড (দুধপুকুর) যাতে অপরিষ্কার না থাকে তারও স্থায়ী ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে কী ভাবে সে কাজ করা সম্ভব, তা প্রোজেক্টরের মাধ্যমে শুক্রবার মন্ত্রীকে দেখিয়েছে একটি সংস্থা। যন্ত্রটির নাম ‘ট্র্যাশ স্কিমার্স’। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, পুকুরের জলের নোংরা, আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করার জন্য যন্ত্র ব্যবহার করতে চায় রাজ্য সরকার। সতীপীঠ এবং তীর্থস্থানের পাশাপাশি, কলকাতার একাধিক সরোবরের জল পরিষ্কারের কাজেও তা ব্যবহার করা হবে বলে জানান দফতরের এক আধিকারিক।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, তারকেশ্বর, কঙ্কালীতলা মন্দির সংলগ্ন দুধপুকুরে বছরের অধিকাংশ সময়ে জমে থাকে কচুরিপানা এবং পুণ্যার্থীদের ফেলে দেওয়া ফুল, প্রদীপ। ফলে অপরিষ্কার হয়ে থাকে দুধপুকুর। অথচ বহু মানুষ পুজো দিতে গিয়ে সেই জল মাথায়-মুখে ছেটান। তাই জল যাতে পরিষ্কার থাকে, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কঙ্কালীতলার দুধপুকুরের অবস্থা দেখে তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখার নির্দেশও দেন।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কুণ্ড বা দুধপুকুরের জলে বিভিন্ন আবর্জনা পড়ে থাকে। তা ছাড়া রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরেও প্রায়ই কচুরিপানা-সহ বিভিন্ন জঞ্জাল পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার হলেও ফের একই হাল হয়।’’ দফতর সূত্রের খবর, তাই নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য এ ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র কার্যকর হবে। কারণ তা বহনযোগ্য হবে। তাই ছোট-বড় মাপের ওই যন্ত্র কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মাপ অনুসারে যন্ত্রের দাম এক কোটি থেকে দু’কোটি টাকা। অনেকটা ছাকনির মতো জলের উপর থেকে আবর্জনা তুলে নেবে সেটি। পরে তা ফেলবে পুকুরের পাড়ে থাকা মালবাহী গাড়িতে।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এ দিন জানান, কঙ্কালীতলায় কুণ্ডর জন্য ছোট যন্ত্র প্রয়োজন। আবার রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরের জন্য বড় মাপের যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। দ্রুত এমন যন্ত্র নামিয়ে কাজ শুরু করার পক্ষপাতী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy