Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

পছন্দের স্কুলে ঝোঁকে হতে পারে সমস্যা

বাঁকুড়ার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজকুমার সরকার জানান, জেলায় এ বার প্রায় ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে বসেছিল। তার মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশ পাশ করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ১৩:২০
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সমস্ত পড়ুয়াকে জেলা স্কুলেই উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি নিতে হবে। এই নির্দেশের জেরে আপাত ভাবে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে দাবি প্রশাসনের। তবে গোলমালটা হতে পারে হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলের দিকে অভিভাবকদের ঝোঁক থাকায়।

বাঁকুড়ার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজকুমার সরকার জানান, জেলায় এ বার প্রায় ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে বসেছিল। তার মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশ পাশ করেছে। তাঁর কথায়, “মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সমস্ত পড়ুয়াকেই উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি নেওয়ার মতো আসন জেলার সমস্ত স্কুল মিলিয়ে রয়েছে। কিন্তু সব স্কুলে তো আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। তাই কয়েকটা স্কুলেই সবাই ভর্তি হতে চাইলে সেটা সম্ভব নয়।’’

বাঁকুড়া জেলা স্কুল, খ্রিস্টান কলেজিয়েট স্কুল, মিশন গার্লস, বঙ্গবিদ্যালয়, কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের মতো কয়েকটি স্কুলে প্রতি বছরই একাদশে ভর্তির জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবীরকুমার দত্ত জানান, বিজ্ঞান বিভাগে তাঁদের১২০টি আসন রয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’শোরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

বাঁকুড়া জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বারিদবরণ মিশ্র জানান, বিজ্ঞান বিভাগে বাংলা মাধ্যমে ১০০টি এবং ইংরেজি মাধ্যমে ৪০টি আসন রয়েছে। কলা ও বাণিজ্য বিভাগে ৫০টি করে আসন রয়েছে।

বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ চৌধুরী, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাক্ষ্যা বিশ্বাস, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অবিজিতা চৌধুরীরা জানান, আসনের থেেক বেশি আবেদন জমা পড়ে। ফলে অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও ভর্তি হতে পারে না।

পুরুলিয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে জেলায় পাশ করেছে ৩২,৪২৩ জন। জেলা পরিষদের শিক্ষা বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সুষেণচন্দ্র মাঝি বলেন, ‘‘জেলায় উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে যত আসন রয়েছে, তাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’’

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরীক্ষা পরিচালন কমিটির পুরুলিয়ার প্রতিনিধি কল্যাণপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘জেলায় ২৭৬টি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পড়ানো হয়। বিভিন্ন স্কুলে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগ মিলিয়ে মোট যত আসন রয়েছে তা পর্যাপ্ত।’’ কিন্তু তাঁর মতে, শহরের কয়েকটি স্কুলে ভর্তির চাপ থাকায় সবাই পছন্দের স্কুলে পছন্দের বিষয় নিয়ে ভর্তির সুযোগ নাও পেতে পারেন। কল্যাণবাবুর মতে, মফস্সলের একাধিক স্কুলে গত বছর বিজ্ঞান শাখায় প্রচুর আসন খালি পড়েছিল। কিন্তু শহরের নামী বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে পারেনি অনেকে।

তবে ভর্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি স্কুল নিয়ে যাতে অভিভাবকেরা গোঁ ধরে না থাকেন তার জন্য বাঁকুড়ায় সচেতনতা প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “পছন্দ মতো স্কুলে যারা ভর্তি হতে পারছে না, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে তাদের ভর্তি করার ব্যবস্থা আমরা করে থাকি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Problems Guardians Favourite School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE