রাস্তায় মোরাম ফেলার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলে এক তৃণমূল নেতাকে বাড়িতে ঢুকে পেটালেন গ্রামবাসীর একাংশ। ওই ঘটনা ঘটল পুলিশের উপস্থিতিতেই। অভিযুক্ত নেতার বাড়ি থেকেই পরে ১১টি বোমাও উদ্ধার হয়। তবে সেটা পুলিশের নজরে নিয়ে আসার কাজটা করে জনতাই।
শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুর থানার পাকুরিয়া গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের তালিকায় থাকা শাসকদলের আরও দুই স্থানীয় নেতা পালিয়ে বেঁচেছেন। জনরোষ থেকে পালিয়ে বেঁচেছেন ওই সংসদের নির্বাচিত সিপিএম সদস্যও। মারের চোটে জখম শেখ নসিবউদ্দিন ওরফে পলাশ নামে ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়। অর্থ আত্মসাৎ এবং বাড়িতে বোমা মেলা নিয়ে নসিবউদ্দিন ও তাঁর পরিবাবের লোকজনের বক্তব্য, গোটাটাই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পুলিশকর্মীরা গ্রামে থাকা সত্ত্বেও জনতার হাতে আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনাও করেছে আহত নেতার পরিবার।
দিন কয়েক ধরেই গ্রামে উত্তেজনা ছিল। গ্রামবাসী শেখ সফিউল, শেখ সুম্মান, শেখ তহিদদের অভিযোগ, তাঁরা সকলেই তৃণমূল করেন। কিন্তু, গ্রামের এনামুল হক, তাঁর খুড়তুতো ভাই নসিবউদ্দিন ও বন্ধু ডালিম— মূলত তিন জনেই গ্রামে দলের হয়ে মাতব্বরি করেন। নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের শেখ ইসমাইল হলেও তাঁকে পুতুল করে পুরো কাজ চালান এনামুলেরা। গ্রামবাসীদের দাবি, তালবেড়া থেকে ঘসবেড়া এবং সফেদ অলির বাড়ি থেকে কবরস্থান, এই রাস্তা দু’টিতে মোরাম ফেলার টাকা বরাদ্দ করেছিল গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু সেই কাজের এক ছটাক না করেই টাকা তুলে নিয়েছিলেন এনামুল, নসিবউদ্দিনেরা।