দেহ ঘিরে ভিড় গ্রামবাসীদের। —নিজস্ব চিত্র।
গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি আখ খেত থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ প্রৌঢ়ের দেহ। ঘটনাটি সাঁইথিয়ার আমোদপুরের সাংড়া পঞ্চায়েতের সোমসা গ্রামের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গুরুচরণ মণ্ডল (৫২)। তিনি এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আমোদপুর ফাঁড়িতে পরিবারের তরফ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ খবর পান, পাশের বনমালিডিহি গ্রামের আখ খেতে গুরুচরণবাবুর দেহ পড়ে আছে। পুলিশ মৃতদেহটি আনতে গেলে গ্রামের লোকেরা বাধা দেন। পুলিশ কুকুর আনার দাবি করেন গ্রামবাসী ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষবাস ও নিজের মুরগি খামার নিয়েই থাকতেন গুরুচরণবাবু। সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। তবে তিনি বরাবর তৃণমূল সমর্থক ছিলেন। তাঁর ভাই মহিতোষবাবু তৃণমূলের স্থানীয় সোমসা বুথ কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, “দাদার কোনও শত্রু ছিল না। বুধবার বিকেলে বাড়িতে চা খেয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সময় মতো বাড়ি না ফেরায় দাদার খোঁজ শুরু করি। পরের দিন সকাল পর্যন্ত কোথাও দাদার হদিশ মেলেনি। শেষে আমোদপুর ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করি। ডায়েরি করার ২৪ ঘণ্টা পরেও দাদার খোঁজ না পাওয়ায় সকলে খুব চিন্তার ছিলাম। এ দিন বিকেলে গ্রামের কয়েকজন লোক আখ খেতের কাছাকাছি জমিতে কাজ করছিলেন। তাঁরাই প্রথম দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়।”
গ্রামবাসী প্রসাদ হাজরা, মোহন দাসরা বলেন, “কাছাকাছি জমিতে কাজ করার সময় দেখি, ওই আখ খেতে বার বার কুকুর ঢুকছে- বেরোচ্ছে। তাতেই সন্দেহ হয়। তারপর গিয়ে দেখি গুরুদার ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ওঁদের বাড়িতে খবর দিই।” মহিতোষবাবু বলেন, “দাদার শরীরে, মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “সম্ভবত কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন আমাকে খুন করতে চেয়েছিল। ভুল করে দাদাকে খুন করেছে।” গ্রামের কোনও লোকজনকে কি সন্দেহ হয়? তিনি বলেন, “না। গ্রামে আমাদের কোনও শত্রু বা বিরোধীদের তেমন কোনও সংগঠন নেই।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনন্দ পাল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy