শুনানি শেষে বেরোচ্ছেন সামন্ত।—নিজস্ব চিত্র।
একশো দিন কাজের প্রকল্পে কাজ না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবন্ধী যুবক সামন্ত মাহাতোকে শুনানিতে ডাকল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
হুড়ার কুসুমজোড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সামন্তর অভিযোগ, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামের পুকুর সংস্কারে এক জন প্রতিবন্ধী শ্রমিক হিসেবে প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের পানীয় জল দেওয়ার কাজ চেয়েও তিনি কাজ পাননি। এমনকী, পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর কাছ থেকে কাজের আবেদনপত্র জমা নিতে অস্বীকার করেছেন। যদিও প্রধানের দাবি ছিল, ওই যুবক কাজ চাইতে পঞ্চায়েতেই আসেননি। বলে জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। এর পর সামন্ত জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে যে সময়গুলির জন্য তিনি কাজ চেয়েছিলেন, তার ভাতা দাবি করেন। এই অভিযোগের শুনানির জন্যই বৃহস্পতিবার একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জেলা দফতরে সামন্তকে ডাকা হয়েছিল।
শুনানি শেষে কান্নায় ভেঙে পড়ে সামন্ত বলেন, “আমি যে কাজ চেয়েছি, তার প্রমাণ দেখতে চাইছিলেন আধিকারিকেরা। কিন্তু, আমার কাছ থেকে তো পঞ্চায়েত প্রধান কাজের আবেদনপত্রই নিতে চাননি! কী ভাবে তা হলে প্রমাণপত্র থাকবে? আমি বাকি কাগজপত্র দেখিয়েছি। কিন্তু, ওঁরা বিশ্বাস করতে চাইলেন না।” এ দিন সামন্তর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা ভাদুবালা ও স্ত্রী শকুন্তলা। সঙ্গে সামন্তর দুই শিশুসন্তান। তাদের এক জনের আবার জ্বর। ওই অবস্থাতেও সাত সকালে তাঁরা পুরুলিয়া এসেছেন। ভাদুবালাদেবী বলেন, “আমার ছেলে ভাল করে কথা বলতে পারে না। যাঁরা শুনানিতে ওর কথা শুনবেন, তাঁরা বুঝতেও পারবেন না। তাই আমরা ঢুকতে চেযেছিলাম। কিন্তু, আমাদের ঢুকতে দিল না।” তাঁর দাবি, সামন্ত মোটেও মিথ্যা বলছেন না। তিনি কাজ চাইতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আর বক্তব্য, পঞ্চায়েত প্রধানকেও এ দিন শুনানিতে ডাকা দরকার ছিল। শুনানি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলার একশো দিনের কাজের প্রকল্প দফতরের আধিকারিক বিজয়কুমার কোলে জানিয়েছেন, অভিযোগকারীর কথা শোনা হয়েছে। কিন্তু, ওই যুবক যে পঞ্চায়েতের কাছে কাজ চেয়েছিলেন, তার কোনও প্রমাণ বা নথি দেখাতে পারেননি। বিজয়বাবু বলেন, “প্রধানকেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তাঁকে অন্য দিন ডাকা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy