হাঁসনে কর্মিসভায় জঙ্গিপুরের সাংসদ। —নিজস্ব চিত্র।
এক সময়ের দলীয় বিধায়ক আজ দলবদল করে অন্য দলে। দল বদল করলেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। কেন ইস্তফা না দিয়ে অন্য দলে চলে গেলেন? যাওয়ার পরেও কি করে তিনি বিধায়ক থাকেন? কেনই বা দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তৃণমূলে যোগ হাঁসনের বিধায়ক অসিত মালকে নিয়ে ওঠা এমন সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল কংগ্রেস সাংসদ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়কে। শুক্রবার তিনি মাড়গ্রাম থানার আম্বা মোড়ে কংগ্রেস কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে আসেন। এই সব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে স্পিকারের কাছে দলীয় বিধায়কেরা আবেদন করেছেন। কিন্তু স্পিকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেরি করছেন। দলবদলের ক্ষেত্রে একটি বিল আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই বিলের মাধ্যমে যিনি দলবদল করছেন সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে এবং আগামী পাঁচ বছর যাতে কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা হবে। প্রয়োজন হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তবেই দলবদল বন্ধ হবে।”
এ দিন, আম্বা মোড়ে কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি সাংসদ ওই থানার হাঁসন ১ ও হাঁসন ২ পঞ্চায়েতের কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলনে যোগ দেন। অভিজিত্বাবু দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের পর অসিত মালের নাম না করে বলেন, “যিনি আপনাদের বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তিনি অনৈতিক কাজ করেছেন। সুতরাং আগামী দিনে সময় আসছে এর একটা মোক্ষম জবাব দেওয়ার। তাই আপনারা সদস্যপদ সংগ্রহ করুন এবং নিজেরা তৈরি হন লড়াইয়ের জন্য।” এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ অসিত মালের সঙ্গে করা হলে বলেন, “আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করে সাংসদ বলেন, “বীরভূমটা অনুব্রত মণ্ডল, দুধকুমার মণ্ডলদের নয়। যাঁরা পুলিশকে বোমা মারার কথা, হাত ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন তাঁদের নয়।” অন্য দিকে, আইএনটিইউসি’র জেলা সভাপতি মিল্টন রসিদ জানান, আজ থেকেই ২০১৬ সালের হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রচার শুরু করল কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy