শিকাগো থেকে ফেরার প্রায় এক বছর পরে নৌকায় হাওড়ার একটি গঙ্গার ঘাটে নেমেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত সেই ‘রামকৃষ্ণপুর ঘাট’ (অধুনা চিন্তামণি দে ঘাট) এ বার স্থান পেল রাজ্যের হেরিটেজের তালিকায়। হাওড়ার স্বামী বিবেকানন্দ সার্ধশতবর্ষ জন্মোৎসব উদ্যাপন কমিটির প্রস্তাব বিবেচনা করে ওই ঘাটকে হেরিটেজ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে ওই কমিটি প্রস্তাবটি দেয়। কমিশনের কর্তা ও সদস্যদের কমিটি সব বিবেচনা করে রামকৃষ্ণপুর ঘাটটি হেরিটেজ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শ্রীরামকৃষ্ণের গৃহী শিষ্য ছিলেন হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর লেনের নবগোপাল ঘোষ। শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পরে তিনি স্বামীজিকে অনুরোধ করেন, তাঁর বাড়িতে গুরুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে। সে জন্যই ১৮৯৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমায় ১৫ জন সন্ন্যাসীকে নিয়ে বেলুড় মঠ থেকে নৌকায় রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি নবগোপালবাবুর বাড়িতে শ্রীরামকৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। ফেরার সময়ে স্বামীজি তাঁর ব্যবহৃত সিল্কের পাগড়ি ও কিছু দুষ্প্রাপ্য দ্রব্য দিয়ে আসেন সেখানে। এখনও প্রতি বছর ওই দিনে বেলুড় মঠ থেকে সন্ন্যাসীরা একই ভাবে নবগোপালবাবুর বাড়িতে যান।
ওই কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক সমীর রায়চৌধুরী জানান, ২০১৩ সালে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে একটি ফলক বসানো হয়েছে। স্বামীজির পৈতৃকভিটার অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ তার আবরণ উন্মোচন করেছিলেন।