শোকস্তব্ধ পরিবার। (ইনসেটে) সৌমেন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র।
ব্যবসায়িক কাজে স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন বছর চল্লিশের সৌমেন দেবনাথ। মাথায় হেলমেট ছিল না। আর সে কারণেই তাঁর পথ আটকায় ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা।
জরিমানা চায় তারা। কিন্তু, সেই জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন ওই ব্যবসায়ী। এর পরই বচসা শুরু হয়।
অভিযোগ, তখনই ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। রীতিমতো রাস্তায় ফেলে চড়, লাথি, কিল মারা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী সৌমেনবাবুকে। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মধ্যমগ্রামের চৌমাথায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সৌমেন দেবনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।মধ্যমগ্রামেরই শ্রীনগরে বাড়ি ওই ব্যবসায়ীর।
এর পরই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা। শুরু হয় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। জনতার মারে আহত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জনতার হাত থেকে বাঁচতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কার্নিসের উপর উঠে পড়তেও দেখা যায় এ দিন।
শনিবার সকালে এই ঘটনার জের বেশ কিছু ক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মধ্যমগ্রামের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। আটকে পড়ে যশোর রোডের যান চলাচলও।
আরও পড়ুন: সাতসকালে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ, অসম
পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত হয়ে পড়ে যে, মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। নামানো হয় র্যাফও। এলাকাবাসীদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: লোকসানের ভাগ নিলে চলবে ট্রেন, চিঠি দিয়েও পিছোল রেল
স্থানীয়দের দাবি, বহু দিন ধরে এলাকায় রীতিমতো দাদাগিরি করে চলেছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। পুলিশের থেকেও তারা নিজেদের মাতব্বর করে মনে করে। আগেও অনেক বার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। যদিও এ দিনের বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy